World Heritage Day 2022: এক নজরে ভারতের সেরা ১০ ঐতিহাসিক ভবন, দেখে নিন এখনও কেন আকর্ষনীয়

ভারতের ইতিহাস অনেক পুরনো। তাই ইতিহাসের সাক্ষীও রয়েছে অনেক। প্রাচীন দক্ষিণ ভারতের মন্দিরগুলি যেখন চোল আর দ্রাবিড় সভ্যতার নিদর্শন বহন করে তেমনই উত্তর ভারতে রয়েছে মোঘত স্থাপত্য। যা হিন্দু আর মুসলিন- দুই সম্প্রদায়ের মিলনের কথা বলে। আজ গোটা বিশ্ব পালন করছে বিশ্ব হেরিটেজ দিবস ২০২২। এই বিশেষ দিনে এক চলুন এক নজরে দেখেনি দেশে সেরা ১০টি ঐতিহাসিক ভবন। কালের নিয়মে সেগুলি জীর্ণ হলেও এখনও আমাদের দেশের ইতিহাস, সমৃদ্ধি, বীরত্বের কথা বলে যাচ্ছে নীরবে। 
 

Saborni Mitra | Published : Apr 18, 2022 7:48 AM IST

110
World Heritage Day 2022: এক নজরে ভারতের সেরা ১০ ঐতিহাসিক ভবন, দেখে নিন এখনও কেন আকর্ষনীয়


এখন ধ্বংসাবশেষ। অথচ একটা সময় এই নান্দলা ছিল শিক্ষার একটি সমৃদ্ধ কেন্দ্র। ১২০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত গোটা উপমাহাদেশের নালন্দার সুনাম অক্ষুন্ন ছিল। মধ্য এশিয়া থেকে শুরু করে চিন ও কোয়িয়ার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল নালন্দার নাম। ভাবতে পারেন সেই সময় ১০.০০০ ছাত্র ছিল আর শিক্ষকের সংখ্যা ছিল ২ হাজার। 

210


১১ শতকের বিধবা রাণীর স্মারক। এটি একটু কুঁয়ো। এটি এমন ভাবে তৈরি হয়েছে দেখলে মনে হয় উল্টানো একটি মন্দির। এখানে এখনও জলের পুজো হয়। 

310


এটি মূলত শিবের মন্দির। ইউনেস্কোর একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান। ৬০ হাজার টন গ্রানাইট দিয়ে তৈরি। তামিল রাজারা এটি তৈরি করেছিলেন। 
 

410


রাজপরিবারের মহিলা- যাঁরা সেই সময় গৃহবন্দি থাকতেন তাদের জন্য তৈরি হয়েছিল বিখ্যাত হাওয়ামহল। পাঁচতলা এই বাড়িটি দেখতে অনেকটা পিরামিডের মত। লাল আর গোলাপি রঙের বেলেপাথর নিয়ে নির্মাণ হয়েছিল ১৮শ শতকে। এটি এখনও রাজস্থানের অন্যতম আকর্ষণ। 
 

510


পুরী গেলেই কোনার্ক যাই আমরা সকলে। কিন্তু কোনার্কের এই সূর্যমন্দির ভারতের সাতটি আশ্চার্যের মধ্যে একটি হিসেবে গণ্য হয়। অকেন গল্প রয়েছে এই মন্দির নিয়ে। কিন্তু সবকিছু ছাপায়ে যায় মন্দিরের নির্মাণ শৈলী। কারণ সূর্যের প্রথম রশ্মি এখনও পড়ে এই মন্দিরের গর্ভগৃহে। 

610


দেশের প্রাচীনতম মসজিদগুলির একটি হল মক্কা সমজিদ। ১৬ শতকে এটি তৈরি হয়েছিল। মহম্মদ কুলি কুতুব শাহ মক্কা শহরের মাটি এনে এটি নির্মাণ করেছিলেন। এই মসজিদ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছিল ওরঙ্গজেবের হাতে। 
 

710


বিশ্বের সবথেকে উঁচু মিনার- উচ্চতা ২৪০ ফুট। ১৩ শতকের গোড়ার দিতে আলা উদ্দিন আইবক এটি তৈরি করেছিলেন। মুঘর সম্রাটরাও এটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতেন। এই মিনার আজও দর্শকদের আকৃষ্ট করে। 
 

810


বিশ্বের সাত আশ্চার্যের একটি। ইউএনইএসসিওর স্বীকৃত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। মুঘল সম্রাট শাহজাহান এটি তৈরি করেছিল প্রয়াত স্ত্রী মুমতাজের স্মৃতির উদ্দেশ্যে। এখানে প্রতি বছর ৭০-৮০ লক্ষ দর্শক যায়। 
 

910


ভারতের বৃহত্তম বৌদ্ধ মঠ। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম। ১৬৮০-১৬৮১ সালে পঞ্চম দলাই লামার ইচ্ছায় এই মঠ তৈরি করেছিল। তাওয়াং নদীর তীরে ১০ হাজার ফুট উঁচুতে এটি তৈরি হয়েছিল। এখনে একটি ১৮ ফুটের বুদ্ধের মূর্তি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। 

1010


বিজয়নগর সাম্রাজ্যের মধ্যে অবস্থিত হাম্পি শহর। ১৩৩৬-১৬৪৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বিজয়নগরের রাজধানী ছিল হাম্পি। এখন জরাজীর্ণ। কিন্তু প্রাচীন ভাস্কর্যে ভারতের সমৃদ্ধির কথা বলে এখনও। শোনাযায় এখানে এমন কতগুলি স্তম্ভ রয়েছে যেগুলিতে হাত ছিলেন একেক রকম বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ হয়। যদিও সেগুলিতে হাত দেওয়া বর্তমান নিষিদ্ধ করছে কর্ণাটক সরকার। 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos