স্কুলে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের হাতে বিনামূল্যে কন্ডোম দেবে সরকার, মানতে নারাজ অভিভাবকরা
পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের বিনামূল্য কন্ডোম দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে মার্কিন মুকুলের স্কুলগুলি। তাতেই রীতিমত ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।
কোভিডের প্রাদুর্ভাবের কারণে বর্তমানে বন্ধ রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক স্কুল। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই স্কুলগুলি খওলার পরিকল্পনা রয়েছে। স্কুল খোলার পরেই ক্লাস ফাইভ থেকেই পড়ুয়াদের বিনামূল্যে কন্ডোম দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে শিকাগোর পাব্লিক স্কুলগুলি।
স্কুলের নিয়মবিধির অধীনে পঞ্চম শ্রেণী থেকেই পড়ুয়াদের এইচআইভি. এইডস এর মত গুরুতর অসুস্থতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করা হবে। তারই অঙ্গ হিসেবে কন্ডোম দেওয়ার সিন্ধান্ত গ্রহণ করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
শিকাগোর প্রায় ৬০০টি স্কুলে এই নিয়ম কার্যকর হবে। যা নিয়ে এখনও থেকেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সরকারি স্কুলের এই সিদ্ধান্ত স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমেই কার্যকর করা হবে।
এই প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে। কিন্তু করোভাইরাসের সংক্রমণের কারণে স্কুলগুলি বন্ধ থাকায় তা কার্যকর করা হয়নি। যখন স্কুল খুলবে তখনই তা কার্যকর করা হবে।
তবে ১০ বছরের শিশুদের হাতে কন্ডোম ধরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি অনেক অভিভাবক আর শিক্ষাবিদই মেনে নিতে পারছেন না। আবার অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
প্রাথমিক স্কলে প্রায় ২৫০টি স্কুল আর হাইস্কুলগুলিতে এই প্রকল্প কার্যকর করা হবে। পুলিশ জানিয়েছেন প্রায় ১ হাজার কন্ডোম বিনামূল্যে পড়ুয়াদের দেওয়া হবে। ১০ বছরের উর্ধ্বে সব পড়ুয়াকেই কন্ডোম দেওয়া হবে।
মহিলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত স্কাউট ব্র্যাট জানিয়েছেন এই সিদ্ধান্ত শিশুদের এইচআইভি বা এইডসের মত ভয়ঙ্কর অসুখ থেকে রক্ষা করবে। শিশুদের মধ্যে যৌন রোগের প্রাদুর্ভাবও কমবে।
প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন এই সিদ্ধান্তের ফলে আগামী প্রজন্ম অনেকটাই সুস্থ হবে। অনেক ধরনের জটিল রোগ কাটিয়ে উঠতে পারবে।
কিন্তু সরকারের এই সিদ্ধান্তে মেনে নিতে পারছেন না অনেক অভিবাবকই। তাঁদের মতে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের হাতে কন্ডোম দেওয়ার অপ্রয়োজনীয় বলেও মনে করেছেন তাঁরা।
তাঁদের কথায় শিশুদের হাতে কন্ডোম তুলে দেওয়ায় অন্য কোনও সমস্যা দেখা দিতে পারে। শিশুদের শৈশব অকালেই হারিয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা।