নির্বাচনে ট্রাম্পকে বাগে ফেলতে নতুন চাল বাইডেনের, প্রেসিডেন্ট হলেই ফের চালু এইচ ওয়ান বি ভিসা

গত ২৩ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এইচ-ওয়ান বি-সহ মার্কিন মুলুকে কাজের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ভিসা নতুন করে দেওয়া বন্ধ করে দেন আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে হতাশ হয়ে পড়েন সেই বিদেশি নাগরিকদের একটি বড় অংশ, যাঁরা কাজের জন্য এইচ-ওয়ান বি-সহ বিভিন্ন ধরনের ভিসা নিয়ে আমেরিকায় যেতে চান। 

এই ভিসা প্রাপকদের একটা বড় অংশ ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা। তাঁরা আমেরিকায় যান মূলত এইচ-ওয়ান বি ভিসা নিয়েই।

আগামী নভেম্বর আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী তথা দেশের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একটি অনলাইন সমাবেশে বাইডেন বলেন, তিনি ক্ষমতায় এলে ফের  এইচ ওয়ান বি ভিসা দেওয়া হবে আমেরিকায় বিদেশি নাগরিকদের কাজ করার জন্য। 
 

জো বাইডেন আরও বলেন,  যাঁরা এই ভিসা নিয়ে আমেরিকায় কাজ করেছেন, তাঁদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভালই হয়েছে।

এইচ ওয়ান বি-সহ আরও কয়েকটি ভিসার সাহায্যেই দক্ষ বিদেশি কর্মীদের আমেরিকায় নিয়ে যায় মার্কিন সংস্থাগুলি। 

ভারত ও চিন থেকে দক্ষ কর্মীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির একমাত্র ভরসা এইচ-ওয়ানবি ভিসা। এই ভিসাগুলির সঙ্গে অভিবাসনের কোনও সম্পর্ক নেই। তাই ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ফলে মার্কিন সংস্থাগুলিই বিপদে পড়ে গিয়েছে।

বাইডেন বলেছেন, ‘‘ক্ষমতায় আসার প্রথম দিনেই আমি কংগ্রেসে অভিবাসন সংক্রান্ত সংশোধনী বিলটি আনছি। যে ১ কোটি ১০ লক্ষ অভিবাসী স্বীকৃতি না পেয়েও আমেরিকায় আছেন, যাঁদের জন্য আমেরিকা উপকৃত হয়েছে, হয়ে চলেছে, আইনটির সংশোধনের ফলে তাঁরা উপকৃত হবেন।’’

বাইডেন জানান, তাঁর জমানায় আমেরিকায় অভিবাসন আইনকে বদলানো হবে। তাকে আরও আধুনিক করে তোলা হবে। যাতে ওই অভিবাসীদের পরিবার-বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে না হয়, সংশোধিত আইন সে দিকে নজর রাখবে।

এমনিতেই জনমত সমীক্ষার ফলাফল অনুসারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে সম্ভাব্য ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন ব্যবধান ক্রমশ বাড়ছে। যা অতীতে ২০১৬ সালে ট্রাম্প বনাম হিলারী ক্লিন্টন, ২০১২ সালে বারাক ওবামা বনাম মিট রমনি, ২০০৮-এর বারাক ওবামা বনাম জন ম্যাকেইন অথবা ২০০৪-এর জর্জ ডব্লু বুশ বনাম জন কেরির লড়াইতে দেখা যায়নি।

করোনা মোকাবিলায় ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যর্থতা ও দেশ জুড়ে চলা বর্ণবিক্ষোভের আঁচ যে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পড়ছেই, তার ইঙ্গিত মিলছে গত  সপ্তাহে করা দেশের বেশ কয়েকটি জনমত সমীক্ষায়।