'ভুল তথ্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী', - কী অবস্থা বঙ্কিমের ভিটে , দেখুন ছবিতে ছবিতে
সোমবারই রাজ্যে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চুঁচুড়ার জনসভা থেকে অভিযোগ করেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্রের জন্মভিটে ভেঙে পড়েছে। সেই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানালো নৈহাটি সাংস্কৃতিক সমন্বয় সমিতি। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠিও দিচ্ছে তারা।
amartya lahiri | Published : Feb 23, 2021 2:10 PM IST / Updated: Feb 24 2021, 12:55 AM IST
সোমবার হুগলী জেলার চুঁচুড়ার জনসভার মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ করেছিলেন, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভিটের সংরক্ষণ করেনি বাংলার পূর্বতন কোনও সরকারই। মঙ্গলবারই, তাঁর সেই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানালো নৈহাটির সাংস্কৃতিক সমন্বয় সমিতি।
তাঁদের দাবি, চুঁচুড়ার সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী ভুল তথ্য দিয়েছেন। নৈহাটিতে বঙ্কিমের জন্মভিটেতে একটি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে এবং সেটির রক্ষণাবেক্ষণ করে রাজ্য সরকারই।
এদিন নৈহাটির সাংস্কৃতিক সমন্বয় সমিতির তরফ থেকে নৈহাটি কাঁঠালপাড়া এলাকায় সাহিত্য সম্রাটের বসতভিটে বঙ্কিম ভবন ও গবেষণা কেন্দ্রের সামনে এই বিষয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তাঁরা দুঃখ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বঙ্কিম ভবন ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিরেক্টর ডক্টর রতন কুমার নন্দী। তিনি জানান বঙ্কিম ভবনটি যথেষ্ট সুরক্ষিত রয়েছে।
১৯৯৯ সালের আগে ভগ্নপ্রায় অবস্থা হয়ে গিয়েছিল ভবনটি। তারপর রাজ্যের বাম সরকারে ববনটি অধিগ্রহণ করে সেখানে এই গবেষণাকেন্দ্র স্থাপন করেছিল।
এখনও ভবনটির রক্ষণাবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের কর্মীদের বেতন হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেই। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার কাজও হয়েছে এই কেন্দ্র থেকে।
তাঁর মতে প্রধানমন্ত্রীকে এই বিষয়ে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রতি বছরই কোনও না কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাংলায় এলে বঙ্কিম ভবন ও গবেষণা কেন্দ্রে আসেন। এই ভবনের প্রশংসাও করেছেন তাঁরা।
চুঁচুড়ার সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ করেছিলেন, এক সময়ে ভারতের অন্যান্য রাজ্য থেকে এগিয়ে থাকা পশ্চিমবঙ্গ ক্রমে পিছিয়ে পড়েছে। বাংলার উন্নয়ন না হওয়ার কারণ তুষ্টিকরণের রাজনীতি। যার জেরে নিজেদের সংস্কৃতি ঐতিহ্যও ভুলে গিয়েছে বাংলায় ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলগুলি। এই প্রসঙ্গেই 'বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভিটেকে অবহেলা' করার অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
মোদী বলেছিলেন, এই বাড়িতে বসেই বঙ্কিমচন্দ্র বন্দেমাতরম-এর মতো দেশাত্মবোধক গান রচনা করেছিলন। যা পরবর্তীক্ষেত্রে ভারতের স্বাধীনতার মন্ত্র হয়ে উঠেছিল। কিন্তু, সেই পুণ্য ভবনও সংরক্ষণ করা হয়নি। ভগ্নপ্রায় হয়ে পজড়েছে বলে খবর পেয়েছেন তিনি।
এই ভবন সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে তাঁর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে একটি চিঠি পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে বঙ্কিম ভবন ও গবেষণা কেন্দ্র।