বাবা কোনও খোঁজখবরই রাখেননি। ফের বিয়ে করে আলাদা সংসার পেতেছেন তিনি। মালদহের ইংরেজবাজার শহর থেকে ১৮ কিমি দূরে যদুপুরের জহুরতলা গ্রামে থাকে রহিম। পরিবার বলতে মা ও দিদা।
একমাত্র দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে মাত্র চোদ্দ বছর বয়েসেই। স্থানীয় জহুরাতলা হাজি মহম্মদ হাইস্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র রহিম। বিড়ি শ্রমিকের কাজ করে কোনওমতে ছেলেকে পড়াশোনা করাচ্ছিলেন গুলনূর বিবি।
করোনা আতঙ্কে যখন প্রথম লকডাউন জারি হল, তখন প্রায় মাস তিনেক বাড়িতে বসেছিলেন রহিমের মা। এখন ফের কাজ শুরু হলেও, তেমন রোজগার হচ্ছে কই! পরিস্থিতি এমনই যে, দু'বেলা খাবার জোগাড় করা রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাহলে উপায়? লকডাউনের জেরে এখন স্কুল বন্ধ। গ্রামের এক পরিবারে কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে সাইকেল কিনেছে রহিম। রোজ ভোরে সেই সাইকেল চেপে শহরে নিয়ন্ত্রিত বাজার থেকে আনারস কেনে সে। তারপর বিক্রি করে বিভিন্ন এলাকায়।
আর অনলাইনে পড়াশোনা? রহিমের অকপট স্বীকারোক্তি, করোনার জন্য স্কুল ও টিউশন বন্ধ। তবে শুনেছি মোবাইলে পড়াশোনা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের বাড়িতে দামী মোবাইল ফোন নেই।'