Published : Nov 13, 2021, 09:54 AM ISTUpdated : Nov 13, 2021, 09:59 AM IST
শনিবার জগদ্ধাত্রী পুজার মহানবমী। জগদ্ধাত্রী পুজোয় (Jagadhatri Pujo 2021)মেতে উঠেছে গোটা চন্দননগর ( Chandannagar)। জলপথে ও ট্রেনপথে দর্শনার্থী আসতে শুরু করেছে। যদিও করোনা আবহের আগে যে ধরণের ভিড় হতো ,তার থেকে কমই হচ্ছে হলে বিভিন্ন পূজা কমিটির উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন। যদিও যত রাত বাড়ছে পূজা মণ্ডপ গুলিতে ভিড় উপচে পড়ছে। চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক চন্দননগরের অন্যতম পুজোগুলি।
শনিবার জগদ্ধাত্রী পুজার মহানবমী। জগদ্ধাত্রী পুজোয় মেতে উঠেছে গোটা চন্দননগর । এই শহরের অন্যতম পুজোগুলির মধ্যে হল চন্দননগর তেমাথা।চন্দননগরের সবচেয়ে উচ্চ প্রতিমা।
211
চন্দননগর ( Chandannagar) জগদ্ধাত্রী পুজোগুলির মধ্যে আরও একটি অন্যতম পুজো এই দৈবক পাড়া। যদিও যত রাত বাড়ে এখানে পুজো মণ্ডপ গুলিতে ভিড় উপচে পড়ে।
311
চন্দননগর ( Chandannagar) জগদ্ধাত্রী পুজোগুলির মধ্যে আরও একটি অন্যতম পুজো নতুন তিলি ঘাট। দূরদূরান্ত থেকে জলপথে ও ট্রেনপথে দর্শনার্থী আসতে শুরু করেছে এখানেও।
411
মহানবমীতে জগদ্ধাত্রী পুজোয় মেতে উঠেছে গোটা চন্দননগর । এবারে বেশ কিছু পূজামণ্ডপ দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এর মধ্যে অন্যতম হাটখোলা মনসাতলা।
511
হাটখোলা মনসাতলা পুজো এবার ৬০ বছরে অর্থাৎ হীরক জয়ন্তী পালন করছে। তাদের এবারের মণ্ডপ টি সম্পুর্ন গোটা হলুদ দিয়ে তৈরি হয়েছে। মোট ১০০০ কিলো হলুদ দিয়ে এই মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। মণ্ডপে ঢোকার মুখেই বিশাল দুটি প্রতীকী হাঁড়ি রাখা হয়েছে। বোঝানো হয়েছে এটি রন্ধনশালা।
611
হাটখোলা মনসাতলা পুজো কমিটির সহ সভাপতি লাল্টু সরকার জানিয়েছেন, আমরা জানি হলুদ অ্য়ান্টিবায়োটিক। এই করোনা আবহে প্রাকৃতিক উপায়ে মণ্ডপ সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত হবে। এমন ধ্যান ধারণা নিয়েই হীরক জয়ন্তীতে এই মণ্ডপ তৈরি করা।
711
প্রায় ১৫ লাখ টাকা বাজেটের এই পুজো মণ্ডপ টি তৈরি করতে সময় লেগেছে তিনমাস। বলা বাহুল্য এই মণ্ডপ টি নিয়ে দর্শনার্থীদের মধ্যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে।
811
পাশাপাশি চন্দননগর নতুন তিলিঘাট পুজো কমিটি তাদের পুজো মণ্ডপ টিতে প্রকৃতির রূপ দিয়েছে। মণ্ডপ টির চারধারে জঙ্গল, হরিণ, পুকুর, হাঁস সবই ছবি ও আলোর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
911
এছাড়া হেলাপুকুর ধার এবার রাজ রাজেশ্বরী মন্দির তুলে এনেছে মণ্ডপে। এই মণ্ডপটিতে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষেধ। স্যানিটাইজার গেট পেরোলেই কচি কাঁচার দল ভলিনটিয়াটি করছে। তাদের কড়া চোখ এড়িয়ে মাস্ক ছাড়া মণ্ডপে যায় কার সাধ্য।
1011
এবার বাড়তি আলো দেখতে পাবেন দর্শনার্থীরা। চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর এলাকার মোট ১৭১ টি পূজা সেন্ট্রাল জগদ্ধাত্রী পূজা কমিটির অনুমোদন পেয়েছে। চন্দননগের জগদ্ধাত্রী পুজো আসলে দুর্গা পুজো , কালী পুজো পেরিয়ে বছর শেষ হবার আগে বাঙালি মনখারাপ মুছে দেওয়া এক অন্যতম খুশির উৎসব। এদিন কোভিড আশঙ্কা দূরে ফেলে ঢল নেমেছে চন্দননগরে।
1111
প্রশাসনের তরফে এই বছর ভদ্রেশ্বর ও চন্দননগর মিলিয়ে মোট ৩০০ টি পুজোকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সর্বস্তরের মোট দেড় হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকছে এই দুই জায়গার পুজো মণ্ডপে।