প্রায় চারশোর বছর আগের কথা। তখন নলহাটিরই গোপগ্রামে থাকতেন বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যরা। সেবার অষ্টমীর দিন সকালে প্রবল বন্যায় ডুবে যায় এলাকা। বন্ধ হয়ে যায় বন্দ্যোপাধ্যায়ের পারিবারিক দুর্গাপুজোটিও।
পরেরদিন অর্থাৎ নবমীতে পুজোর ঘটটি তুলে নিয়ে যাওয়া হয় পাশের গ্রাম আকালিপুরে। সেই থেকেই প্রতিবছর নবমীর দিনে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয় গ্রামে। যদিও পঞ্জিকা মেনে বোধনের দিনেই আবাহন করা হয় দেবীকে।
বোধনের দিনে নদী থেকে ঘট ভরে আনেন মহিলারা। পুজো মিটলেই শুরু হয়ে যায় সিঁদুর খেলা। সপ্তমীর দিন আবার ঘট ভরে আনেন পুরুষরা। জাঁকজমক করে পুজো হয় নবমীতে।
চারদিন নয়, নলহাটির আকালিপুর গ্রামে দুর্গাপুজো একদিনের। মূর্তি গড়ার রেওয়াজ নেই। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমীর পুজো হয় ঘটে।
পরিবারের সদস্য সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, নবমীর দিনে বিশেষ ঘট ভরে এনে পুজো করা হয়। মায়ের নামে জমি রয়েছে। সেই জমি আয় থেকে পুজো হয়। বলি দেওয়া হয় ঘটের সামনে।