গৃহশিক্ষক বাবার ছোট ঘর। তিন ভাই মিলে ৫ জনের পরিবার। রাতে ঘুমানো ও পড়াশুনার জন্য আলাদা ঘর ছিল না তাঁদের। ছোট্ট ওই ভাঙাচোরা বাড়িতে থেকেই লড়াই করেছে তুলকালাম।
410
মেডিক্য়াল প্রবেশিকা পরীক্ষায় ৭২০র মধ্যে ৫৮৫ পেয়েছে তুলকালাম। ১৭ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে সাফল্যের শিখরে সে। রাডিয়াল গ্রামবাসীরা মাঝে অভাবি অসহায় বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফুটিয়েছে তুলকালাম।
510
২০১৬ সালে তলসীহাটা উচ্চ বিদ্য়ালয় থেকে মাধ্য়মিকে ৮৩ শতাংশ নম্বর পেয়েছিল। ২০১৮ সালে উচ্চমাধ্যমিকে ডিএন সাহা বিদ্যাভবন থেকে ৮৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছিল সে। পরে মালদহ আল আমিন মিশন অ্যাকাডেমি থেকে নিট পরীক্ষা দেয় তুলকালাম।
610
বাবা আবুল কালাম একজন গৃহশিক্ষক। অন্যের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছেলে মেয়েদের পড়ান। মা সাইনুর বিবি একজন গৃহবধূ। সংসারের খরচ টানতে তাঁকে অন্যের জমিতে ধান কাটতে যেতে হয়।
710
জমি-জায়গা বলতে কিছুই নেই তাঁদের। তিনভাইয়ের মধ্যে তুলকালাম বড় ছেলে। ঘরের টালি ছাউনির ফাঁকফোকর দিয়ে আলো বাতাস প্রবেশ করে। জরাজীর্ণ দেওয়াল গুলিতে দারিদ্রতার ছাপ। বাবার গৃহশিক্ষকতার উপার্জনে চলে তাঁদের পড়াশুনার খরচ।
810
ছেলের সাফল্যে খুশি বাবা-মা। কিন্তু মেডিক্যালের সর্বভারতীয় পরীক্ষায় এত ভাল ফল করেছে। কিন্তু আগামী দিনের পড়াশুনার খরচ বাবা-মা চালাবে কী করে? চিন্তায় ফেলেছে বাবা আবুল কালামকে।
910
অর্থের অভাবে ঘর করতে পারেননি বাবা আবুল কালাম। বিপিএল তালিকায় নামও নেই তাঁদের। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘরও জোটেনি।
1010
লড়াই শুরু করেছে তুলকালাম। এখনও অনেক দূর যেতে হবে তাঁকে। ডাক্তার হয়ে গরিব মানুষের চিকিৎসা করাতে ইচ্ছুক তুলকালাম। কিন্তু, ডাক্তারি পড়ার উচ্চশিক্ষায় সবচেয়ে বড় বাধা আর্থিক সমস্যা।