উৎসবের মরশুমে করোনা আতঙ্ক। দুর্গাপুজোর সময়ে মণ্ডপেই ঢুকতে পারেননি বহিরাগত দর্শনার্থীরা। কালীপুজোয় আবার বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশের মাতৃ আরাধনার প্রস্তুতি চলছে রাজ্যের সর্বত্রই।
পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর ২ নম্বর ব্লকের মৌতড় কালীমন্দিরটি শতাব্দী প্রাচীন। জেলা তো বটেই, এখানকার কালীপুজো রাজ্যের অন্যতম বিখ্যাত ও বড় পুজো হিসেবে পরিচিত। পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকেও পুজো দেখতে আসেন বহু ভক্ত।
এবার মৌতড় কালী মন্দিরে পুজো হচ্ছে যথারীতি। তবে করোনা আবহে আয়োজনে অনেকটা কাটছাঁট করেছেন উদ্যোক্তারা। মানুষের জমায়েত এড়াতে এবার আর মেলা বসছে না।
কয়েক বছর আগে এই মন্দিরটিকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে কলকাতার কালীঘাটের আদলে। কালীপুজো রাত থেকে শুরু হয়ে পরের দিন সকাল পর্যন্ত চলবে পুজোপাঠ। প্রতিবারই যেমন কয়েক হাজার ছাগল বলি দেওয়া হয়, এবার তেমনটাই হবে।
কীভাবে মৌতড় কালীবাড়িতে পুজোর সূচনা হল? সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। জনশ্রুতি, কয়েক শতাব্দী আগে মৌতড় গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য তাঁর মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন সাধক শোভরাম বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এখন যেখানে মন্দির রয়েছে, সেখানে পঞ্চমুন্ডির আসন প্রতিষ্ঠা করে পুজোপাঠ শুরু করেছিলেন তিনি।