অতিমারি নিয়ে বেঙ্গালুরুবাসীকে শুধু সচেতন কে তোলাই নয়, অতিমারিতে একটা সদর্থক লড়াইয়ের বার্তা দেওয়া গিয়েছে বলেই মনে করছে নম বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশন। অন্তত ২০০ জন এই ওয়েবনারের অংশ নিয়েছিলেন। পুরো অনুষ্ঠানই এক অভূতপূর্ব পারস্পরিক আলোচনার মধ্যে দিয়ে সমাপ্তির দিকে এগিয়েছিল বলেই জানিয়েছে নম বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশন।
এবার ওয়েবনারের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শপথ। আর এই শপথ নিল নম বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশন। ৩০ মে এই ওয়েবনিয়ারের আযোজন করা হয়েছিল এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে। ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে হওয়া এই ওয়েবনিয়ারের মূল বক্তা ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র এবং নম বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি রাজীব চন্দ্রশেখর। এছাড়াও বক্তা হিসাবে ছিলেন কর্ণাটকের স্বাস্থ ও পরিবার কল্যাণ এবং চিকিৎসাবিদ্যার মন্ত্রী ডক্টর কে সুধাকর। রাজীব চন্দ্রশেখর এবং কে সুধাকর- দুজনেই এই ওয়েবনারে অংশ নেওয়া বিভিন্ন অতিথি-দের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। সেইসঙ্গে করোনাভাইরাসের জেরে অতিমারিতে নম বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশন এবং কর্ণাটক সরকার একে অপরের পরিপূরক হয়ে কীভাবে কাজ করছে সে তথ্যও সকলের সামনে তুলে ধরেন তাঁরা।
৩০ মে আবার সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখরের জন্মদিন ছিল। ফলে, বলতে গেলে এমন এক দিনে অতিমারি নিয়ে বেঙ্গালুরুবাসীকে শুধু সচেতন কে তোলাই নয়, অতিমারিতে একটা সদর্থক লড়াইয়ের বার্তা দেওয়া গিয়েছে বলেই মনে করছে নম বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশন। অন্তত ২০০ জন এই ওয়েবনারের অংশ নিয়েছিলেন। পুরো অনুষ্ঠানই এক অভূতপূর্ব পারস্পরিক আলোচনার মধ্যে দিয়ে সমাপ্তির দিকে এগিয়েছিল বলেই জানিয়েছে নম বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশন।
এদিকে, ৩০ মে নম বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ফের ওয়েলনেস কিট, গ্রোসারি কিট, মাস্ক, স্যানিটাউজার এবং পিপিই কিটস বিলি করা হয়। এযাত্রায় এক হাজারের বেশি পরিবারের হাতে করোনা অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই জিনিসগুলি তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নম বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশন। এই প্রাপকদের তালিকায় পুরকর্মী এবং পুলিশকর্মীরাও রয়েছে। বেঙ্গালুরু শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে এই বিতিরণের কর্মসূচি নিয়েছিল নম বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাঠ চেরাই কল, আরপিসি লেআউট, নানজাম্বান্না আগ্রাহরা, অশোকনগর, বিদ্যারানপুরা, বোম্মাসান্দ্রা, কোরামঙ্গলা, তিলক নগর, সুদ্দুগুনতানাপালিয়া।
করোনা অতিমারির বিরুদ্ধে লাগাতার কাজ করেছে নম বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশন। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে বসবাসকারী দুস্থ এবং অসহায়দের মধ্যে বিতরণ করেছে নিত্য-প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী। নম বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি তথা রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখরের উদ্যোগে এই খাদ্য-সামগ্রী দুস্থদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অতিমারি এবং লকডাউনের জেরে যে সব মানুষ কাজ হারিয়েছেন অথবা এমন দুস্থ-মানুষ যারা শারীরিকভাবে উপার্জনে অক্ষম- এমন ৫০০ পরিবারের হাতে এই খাদ্য-সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। একটি একটি পরিবারে যাতে চার থেকে পাঁচ জন সদস্য অন্তত দিন কয়েক ধরে এই খাদ্য সামগ্রী-কে কাজে লাগাতে পারে, ততটা পরিমাণ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নব বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণের সঙ্গে সঙ্গে ২৬ মে নম বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দুস্থ এবং গরিবদের হাতে ওয়েলনেস এবং ইমুনিটি কিটস-ও তুলে দেওয়া হয়। এই ধরনের কিটস এই সব মানুষদের করোনাভাইরাসের এই অতিমারিতে শারীরিক সক্ষমতা এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। এমন অন্তত ১ লক্ষ কিটস বেঙ্গালুরু জুড়ে দুস্থ এবং অসহায়দের মধ্যে বিলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নব বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশন। এর সঙ্গে সঙ্গে করোনা টিকাকরণ নিয়েও প্রচার শুরু করে দিয়েছে এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। মানুষ যাতে করোনা টিকাকরণ সম্পর্কে সচেতন হয় তার জন্য দুস্থ ও অসহায়দের মধ্যে নিরন্তর প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে নম বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশন। এই প্রচারের অঙ্গ হিসাবে ফাউন্ডেশনের তরফে করোনা টিকাকরণের রেজিস্ট্রেশনেও সাহায্য করা হচ্ছে। এর বাইরেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই নব বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশনের তরফে বেঙ্গালুরু জুড়ে দুস্থ এবং নিম্নবিত্তের মানুষের বসবাসকারী এলাকায় যে সব মেডিক্যাল ক্যাম্প চলছে সেখানে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর এবং অক্সিমিটারও বিতরণ করেছে।
অতিমারির জন্য সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েছেন দিন-আনা দিন-খাওয়া মানুষরা। তাঁদের হাতে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য-সামগ্রী পৌঁছে দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে নম বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশন। এর জন্য যারা সেচ্ছ্বায় এই সব মানুষকে সাহায্য করতে ইচ্ছুক তাঁদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে ফাউন্ডেশন। যাতে সকলের এই সম্মিলিত চেষ্টাকে দুস্থ মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। এই কারণে নম বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশন সাহায্য করতে ইচ্ছুক মানুষদের কাছেও আর্জি রাখছে অনুদান এবং সাহায্যের জন্য। নম বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি এবং সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, 'আমাদের সকলকেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ-এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। বেঙ্গালুরুতে এত মানুষের যাতায়াত যে স্বাভাবিকভাবেই এখানে সংক্রমণ একটা ভয়ানক আকার নিয়েছে। বেঙ্গালুরুবাসী হিসাবে আমাদের উচিত একে অপরের পাশে দাঁড়ানো।'
নম বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসাবে কাজ করে আসছে। এই ফাউন্ডেশনের মূল উদ্দেশ্যই হল বেঙ্গালুরুবাসীর পাশে দাঁড়ানো এবং তাঁদেরকে সুরক্ষিত রাখা। বেঙ্গালুরুকে যাতে আরও সুন্দর এবং সুরক্ষিত করা যায় তার জন্য অ্যাডভোকেসি থেকে শুরু করে পার্টানারশিপ এবং অ্যাক্টিভিসমের মাধ্যমে কাজ করে চলেছে এই সংগঠন। নম বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশনকে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে নাগরিকরা সমবেত হয়ে একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তুলতে পারে এবং সেইসঙ্গে শহর গঠনের পরিকল্পনা থেকে শুরু করে স্বচ্ছ সরকারের পক্ষে শক্তিশালী মত তৈরি করা থেকে শুরু করে যাবতীয় দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা ও সরকারি সম্পত্তির সঠিক প্রয়োগ-রক্ষায় আওয়াজ তুলতে পারে। নম বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশন সম্পর্কে আরও বিশদে জানতে হলে যোগাযোগ করতে পারেন বিনোদ জ্যাকবের সঙ্গে। ফোন করতে পারেন এই নম্বরে ৯১-৭৩৪৯৭৩৭৭৩৭, ইমেল- vinod.jacob@namma-bengaluru.org।