করোনার কবলে পড়ে প্রথম কয়েকদিন বেজায় আনন্দ, হঠাৎ করে ছুটি, নেই স্কুলের পাঠ, নেই পরীক্ষা, হঠাৎ করে বাড়িতে উৎসব। সবাই খবরে চোখ রাখতে ব্যস্ত, ছোটরা তখন অ্যালার্ম ভুলে দিব্যি নিচ্ছে ঘুমিয়ে। বিকেলে খেলা, বাড়িতে এক সঙ্গে কর্মরত মা-বাবাকে পাওয়া। সে যেন এক স্বর্গীয় সুখ। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই বদলে যায় সেই চিত্র।
আরও পড়ুন- গর্ভাবস্থায় কি করোনা ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত, সাইড এফেক্টে ক্ষতি হবে না তো গর্ভের সন্তানের
ক্রমেই বন্ধ হতে থাকে বাইরের দুনিয়া- বাইরে বেরিয়ে খেলা, সকলের সঙ্গে মেশা, কারুর বাড়ি যাওয়া এক কথায় সবটাই বন্ধ। ভাটা পড়েছে আনন্দে।
একঘেয়েমি জীবন- একই রুটিন প্রতিটা দিন। টানা এক বছর দেখা নেই স্কুলের। নেই কোনও পড়াতে যাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলা, তাই বেশ খানিকটা এক ঘেয়ে জীবন।
পড়ার প্রতি অনিহা- পড়াশুনা নিয়ে এক চরম অনিহা। কিছুতেই যেন পড়তে বসা যায় না। একের পর এক পরীক্ষা বাতিল।
আরও পড়ুন- শুধু কলকাতাতেই প্রায় সাড়ে ৩ হাজার আক্রান্তের মৃত্যু, কোথায় গিয়ে থামবে কোভিড
শৃঙ্খলা নষ্ট হওয়া- স্কুল মানেই ঘড়ি ধরে ওঠা, নিয়ম করে খাওয়া। সেই নিয়ম মেনে চলাতেই যেন গা ঢিলেমি।
মানুষের সঙ্গে দূরত্ব মেনে চলা- অনেকেই আছে যারা ইন্ট্রোভার্ট, কিন্তু অনেকেই আছে যারা আবার সকলের সঙ্গে মিলে মিশে থাকতে পারে, করোনার পরিস্থিতিতে সেই সকল শিশুরাই প্রত্যেকের থেকে দূরে থাকতে শুরু করেছে।
এমনই নানা ছোট ছোট বিষয়গুলি শিশুদের জীবন পাল্টে দিচ্ছে। পাল্টে দিচ্ছে তাদের অভ্যাসগুলি। এই সময়ই তাদের বেশ কিছু অভ্যাস পাল্টে যাচ্ছে, বদলে যাচ্ছে তাদের খাদ্যের অভাস, সময় থাকতে থাকতে ছোটদের এই বিষয়গুলো নিয়েই সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে।