হাসপাতালে ভর্তির আগে পর্যন্ত নিয়মিত ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার খেত। হাসপাতালে ভর্তির আগের দিন রাতেও সেই পড়ুয়া রেস্তোঁরা থেকে কেনা মুরগি ও নুডল এক দুটি পদ খেয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে অন্যান্য দিনের মতই গরম না করেই খাবারগুলি খেয়েছিল।
ফ্রিজের (fridge) ঠান্ড (Cold) খাবার ঠিক কতটা বিপজ্জনক? আরও একবার প্রশ্ন তুলে দিল নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিকেলের একটি প্রতিবেদন। সেই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, প্রত্যেকদিন ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার খাওয়ায় একট পড়ুয়া সেপসিসে (sepsis) আক্রান্ত হয়েছে। তার পায়ের অবস্থায় এতটাই খারাপ যে পায়ের ১০টি আঙ্গুল কেটে বাদ দিতে হয়েছে। রোগটি সারা গায়ে ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে সেই পড়ুয়া হাসপাতালের আইসিইউতে জীবনের সঙ্গে পঞ্জা লড়ছেন।
ফ্রিজের খাবার বিপজ্জনক
প্রতিবেদনা বলা হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তির আগে পর্যন্ত নিয়মিত ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার খেত। হাসপাতালে ভর্তির আগের দিন রাতেও সেই পড়ুয়া রেস্তোঁরা থেকে কেনা মুরগি ও নুডল এক দুটি পদ খেয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে অন্যান্য দিনের মতই গরম না করেই খাবারগুলি খেয়েছিল। এই খাবারগুলি খাবার পরই তীব্র পেটে ব্যাথা অনুভূত হয়। সঙ্গে শুরু হয় বমি। তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে পড়ুয়ার শরীরে দেখা দিতে শুরু করে সেপসিসের লক্ষণ। বন্ধু যখন আক্রান্ত তরুণকে হাসপাতালে ভর্তি করে তখন তার শরীরে বেগুনি বেগুনি দাগ তৈরি হয়েছিল।
আক্রান্ত তরুণ
মেডিক্যাল জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপতালে ভর্তির প্রায় পাঁচ ঘণ্টা আগে থেকেই তরুণের শরীরে বেগুনি বেগুনি দাগ তৈরি হয়েছিল। প্রথমেই আক্রান্তকে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, রোগী অনেক দিন ধরেই গুরুতর লক্ষণগুলি দেখতে পাচ্ছিল। বেশ কয়েক দিন ধরেই ভুগছিল। কিন্তু বাড়াবাড়ি হওয়ার পরই হাসপাতালে আসে। একটি আক্রমণাত্মক ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে সংক্রমিত হয়েছিল জানিয়েছিলেন তিনি।
প্রাথমিক লক্ষণ
হাসপাতাল সূত্রের খবর রক্তপরীক্ষার রিপোর্টে নেইসেরিয়া মেনিনজিটিডিস ব্যাকটেরিয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। চিকিৎসক বার্নাড বলেছেন, ব্যাকটেরিয়া রক্তে উপস্থিত থাকে, তখন গোটা শরীরের রক্তনালীগুলিতে প্রসারিত হয়। রক্তের চাপ কমে যায়। অক্সিজেন শরীরের ভিরতে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। সর্বত্রই রক্ত জমাট বেঁধে রক্ত প্রবাহকে বাধা দেয়। তারপরই জমাট বাঁধা রক্তে পচন শুরু হয়। ত্বকের টিস্যুগুলি রক্তের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। কিন্ত রক্তপ্রবাহে বাধার কারণে দেহে রক্ত সঞ্চালনেও বাধা পায়। তাতেই শুরু হয় সেপসিস।
সেপসিস কী?
সেপসিস কোনও সংক্রমিত রোগ নয়। এটি এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে যায় না। এটি সাধারণত নিউমোনিয়া, ইউটিআই ও অ্যাপেন্ডিসাইটেসের মতো অবস্থার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
সেসপিসের সাধারণ লক্ষণ
এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের একটি ছোটখাট কাটা অংশ বা ক্ষতের চারপাসের অংশ লাল হয়ে ফুলে যায়। সেই জায়গাটি অত্যাধিক গরম হয়ে থাকে। সেপসিস একবার শুরু হল তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অঙ্গকে অকেজ করে দেয়। এই রোগের প্রভাবেই রক্তচাপ কমে যায়। যা সাধারণত সেপটিক শক নামে পরিচিত।
সেসপিসের ভয়াবহতা
চিকিৎসক বার্নাড ঘটনাটিকে বিস্ময়কর বলে চিহ্নিত করেছে। তবে এখনও স্পষ্ট নয় কোন খাবারে এজাতীয় ভয়ঙ্কর ব্যাকটেরিয়া ছিল। তিনি জানিয়েছেন আক্রান্ত তরুণের জ্ঞান ফেরে ২৬ দিন পরে। ততক্ষণে বদলে গিয়েছে তার পুরো জীবন। কারণ পায়ের ১০টি আঙ্গুল ছাড়াও একটি পা হাঁটুর নিচ থেকেও বাদ দেওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চিকিৎসকদের কথায় এটি অন্ত্র, স্তন, প্রোস্টেট ক্যান্সারের তুলনায় বেশি মারাত্মক।
প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চ্যালেঞ্জ, বিতর্কে আহ্বান পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের
ভোটের পরে মুখ ফিরিয়েছে, প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃণমূলের
ভিড়েঠাসা মিয়ামির সমুদ্র সৈকতে তলিয়ে গেল হেলিকপ্টার, দেখুন ভিডিও