গর্ভস্থ সন্তান ছেলে না মেয়ে, ডাক্তারি পরীক্ষা না করেই বাড়িতে বসে জেনে নিন

গর্ভস্থ সন্তান ছেলে হোক বা মেয়ে, যেন সুস্থ হয়। এই কামনা করেন প্রত্যেক বাবা মা। তবে মনে সুপ্ত বাসনা থাকে, যে নয় মাস পরে কার মুখ দেখবেন তাঁরা, ছেলে নাকি মেয়ের। 

মাতৃত্ব একটা আলাদা অনুভূতি। তাকে ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। যারা সেই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যান, তাঁরাই বোঝেন এর মর্ম। কিন্তু তার সঙ্গে এই সময়টা মহিলাদের জন্য খুবই যন্ত্রণাদায়ক। প্রায় ১০ মাস (10 months) গর্ভে সন্তান (Child) ধারণ করে চলা তো সহজ কথা নয়। নিজের শরীরের খেয়াল রাখতে হয়, সেই সঙ্গে রাখতে হয় গর্ভস্থ সন্তানের খেয়াল (Take Care Of Baby)। গর্ভস্থ সন্তান ছেলে হোক বা মেয়ে, যেন সুস্থ হয়। এই কামনা করেন প্রত্যেক বাবা মা (Parents)। তবে মনে সুপ্ত বাসনা থাকে, যে নয় মাস পরে কার মুখ দেখবেন তাঁরা, ছেলে নাকি মেয়ের। 

গর্ভস্থ ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। বিদেশে এর চল থাকলেও, ভারতে কন্যাভ্রূণ হত্যার সংখ্যা দিনে দিনে বাড়তে থাকায়, তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কিছু লক্ষ্মণ রয়েছে, যার থেকে বোঝা যেতে পারে গর্ভস্থ সন্তান ছেলে না মেয়ে। আসুন জেনে নিই

Latest Videos

 গর্ভস্থ বাচ্চার দ্রুত হৃদস্পন্দন হার

কেউ কেউ অধীর আগ্রহ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে জানতে চান, শিশুর হৃদস্পন্দন হার (হার্ট রেট) কত? কারণ তারা শুনেছেন, হৃদস্পন্দন হার যত বেশি হবে, মেয়ে হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। অনেকের মতে, গর্ভস্থ বাচ্চার হৃদস্পন হার প্রতি মিনিটে ১৪০ এর বেশি হলে মেয়ে হবে। কিন্তু জেনে রাখুন, এটা ভুল ধারণা। গর্ভাবস্থার ৫ম সপ্তাহে ভ্রুণের হৃদস্পন্দন হার মায়ের মতো একই থাকে- প্রতি মিনিটে ৮০ থেকে ৮৫ এর মধ্যে। তারপর ৯ম সপ্তাহ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রিত হারে বাড়তে থাকে- প্রতি মিনিটে ১৭০ থেকে ২০০। এরপর কমতে শুরু করে গড়ে ১২০ থেকে ১৬০ হয়। সাধারণত মেয়ে শিশুর হৃদস্পন্দন ছেলে শিশুর চেয়ে দ্রুত হয়, কিন্তু এটা কেবলমাত্র প্রসব প্রক্রিয়া শুরুর পরে। 

ব্রণ ও তৈলাক্ততা

গবেষকদের মতে, গর্ভকালে ত্বক তৈলাক্ত হওয়া ও ব্রণ ওঠার সঙ্গে গর্ভস্থ সন্তানের লিঙ্গের কোনো সম্পর্ক নেই। এর দায়ভার হরমোনের ওপর চাপাতে পারেন। গর্ভাবস্থায় অ্যান্ড্রোজেন নামক হরমোন বেড়ে যায় বলে বেশি করে সিবাম উৎপন্ন হয়। এই তৈলাক্ত পদার্থ ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করে দেয় ও ব্রণের প্রাদুর্ভাব ঘটায়।

সকালবেলা বেশি অসুস্থতা

গর্ভকালে সকালের অসুস্থতা (বিশেষত বমিভাব ও বমি) হলো একটি সাধারণ উপসর্গ। সাধারণত গর্ভাবস্থার প্রথম চার মাসে এই লক্ষণ প্রকট হয়। এটি প্রায়ক্ষেত্রে গর্ভবতী হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ। হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে একজন গর্ভবতী নারী সকালে অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন। এর আরেকটি কারণ হলো, রক্ত শর্করা কমে যাওয়া। তবে প্রচলিত বিশ্বাস যে, গর্ভাবস্থার যে কোনো পর্যায়ে সকালে অত্যধিক অসুস্থ হওয়ার অর্থ হলো, মেয়ে শিশু জন্ম নিতে যাচ্ছে। কিন্তু এটাও একটি ভুল ধারণা।

মিষ্টি খাবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা

গবেষকরা জানান, গর্ভাবস্থায় অদ্ভুত অদ্ভুত খাবারের প্রতি আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধির একটি সম্ভাব্য কারণ হলো, কিছু নির্দিষ্ট মিনারেলের ঘাটতি। এর সঙ্গে গর্ভস্থ বাচ্চার লিঙ্গের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে বলা হয়, গর্ভাবস্থায় বেশি করে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে চাওয়ার মানে হলো শরীরের ভেতর কন্যা সন্তান বেড়ে ওঠছে। এর পরিবর্তে এ সময় যাদের লবণাক্ত বা টক জাতীয় খাবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা বাড়ে তারা নাকি ছেলে সন্তানের মা হবেন। কিন্তু এসব আসলে ধারণা মাত্র।

উঁচু পেট

পেট বেশি উঁচু হলে অনেকে নিশ্চিত থাকেন যে, মেয়ে হবে। তবে এই ধারণা ভুলও হতে পারে।ভালো শারীরিক গঠনের যেসব নারী প্রথমবার মা হতে যাচ্ছেন তাদের পেট বেশি উঁচু হতে পারে। নারীর শরীরের আকৃতি, পেটের পেশি এবং গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধি- এসব কারণেও পেট উঁচু হতে পারে। কয়েকবার গর্ভবতী হলেও পেটের পেশির নমনীয়তার ওপর প্রভাব পড়তে পারে। এসবের ওপর বাচ্চার লিঙ্গের কোনো প্রভাব নেই। 
 

Read more Articles on
Share this article
click me!

Latest Videos

ফের গায়েব ট্যাবের টাকা! ক্ষুব্ধ বেগমপুর হাই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা | Bengal Tab Scam | Hooghly News
অশোকনগরে ট্রেন অবরোধে তুলকালাম! কেন এই পরিস্থিতি হল? দেখুন | Ashoknagar News
গোপন অভিযানে এ কী উদ্ধার করলো পুলিশ! চাঞ্চল্য ভাঙড়ে | South 24 Parganas News Today
‘মুখ্যমন্ত্রী গরীবদের আশ্বাস নিয়ে সেটা লুঠ করছেন’ ট্যাব দুর্নীতিতে মমতাকে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের
উত্তর ব্যারাকপুরে শোকের ছায়া! নিজের বাড়ির ছাদ থেকেই পাওয়া গেল নিথর দেহ | North 24 Parganas News