কালীপুজো থেকে ভাইফোঁটা - উৎসবের মরশুমে নিজেকে সুস্থ রাখতে এই পাঁচটি টিপস মেনে চলুন

উৎসবের মরশুমে স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে ও ক্যালোরি বজায় রাখতে খাবারের অভ্যাস অত্যান্ত জরুরি। এজাতীয় খাবার হৃদপিণ্ড ভাল রাখতে সাহায্য করে। 

Web Desk - ANB | / Updated: Oct 23 2022, 07:01 AM IST

কালীপুজো থেকে ভাইফোঁটা - একটু ভুল হল উৎসবের মরশুম শুরু হয়ে যায় ধনতেরাস থেকেই। কারণ এই বিশেষ দিকে কেনাকাটা করতে গেলে অনেক দোকানদারই মিষ্টি নিয়ে ক্রেতাকে স্বাগত জানান। যাইহোক আবার শুরু হচ্ছে উৎসবের মরশুম। আর এই মরশুম কিন্তু পাঁচ দিনব্যাপী। পুজো হোক বা যেকোন পালপার্বল- ভোজন রসিক বাঙালি কবজি ডুবিয়ে খাবেই। এই অবস্থায় বাড়তে পারে কোলেস্টোরল থেকে শুরু করে সোডিয়ান। আর ডায়াবেটিশের রোগীরা বছরের অন্য সময়টা মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চললেও এই সময়টা কিন্তু মিষ্টি বাদ দিতে পারেন না। এই অবস্থায় নিজের স্বাস্থ্যের দিকে জোর দেওয়া অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি মিষ্টির দোকান বছরের সবচেয়ে বড় বিক্রির জন্য প্রস্তুত। আমরা সকলেই বিভিন্ন ধরণের মুখের উপাদেয় খাবার খেতে ভালবাসি। যা রসনা তৃপ্তি করলেও শরীরকে অসুস্থ করে তোলে। কারণ বেশিরভাগ সুস্বাদু খাবারগুলি চিনিযুক্ত এবং চর্বি সমৃদ্ধ যা কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের জন্য খারাপ। 

তাই উৎসবের মরশুমে স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে ও ক্যালোরি বজায় রাখতে খাবারের অভ্যাস অত্যান্ত জরুরি। এজাতীয় খাবার হৃদপিণ্ড ভাল রাখতে সাহায্য করে। 

১. অতিরিক্ত ক্যালোরি বা সোডিয়াম যুক্ত  খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। উদাহরণস্বরূপ,এই উৎসবের সময় আপনি যদি ছোলা-বাটোরে বা পুরি বা লুচি- আলুর দম অথবা রসগোল্লা খেতে চান তবে আপনার খাওয়ার পরিমাণ অত্যান্ত কমিয়ে ফেলতে হবে।

২. উৎসবের এই সময় স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস ব্যবহার করুন- খাওয়ার জন্য প্রস্তুত শাকসবজি এবং ফলগুলি খেয়েই বাড়িতে আপনার খিদে  মেটাতে পারেন। বাইরে গেলে বা অতিথি আপ্যায়নের সময় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া হয় না।  উদাহরণস্বরূপ, শসা বা পেঁপে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখুন।

৩. পুরো সিরিয়াল খান- গোটা সিরিয়ালে রাফেজের পাশাপাশি খনিজ রয়েছে যা কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের জন্য স্বাস্থ্যকর।

৪.উৎসবের মরশুম তো বটেই এছাড়াও বছরের অন্যান্য সময়ই সুস্থ থাকার জন্য  সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ২০ থেকে ৩০ মিনিটের জন্য মাঝারি তীব্রতার কিছু ভোরবেলা ব্যায়াম করুন। দ্রুত হাঁটা বা সাইকেল চালানোর মত ক্রিয়াকলাপ হৃদপিণ্ড ভাল রাখতে সাহায্য করে। 

৪. স্বাস্থ্যকর চর্বি বেছে নিন - জলপাই তেল, ক্যানোলা তেল এবং বাদামের তেল - মাখন, পাম তেল বা নারকেল তেলের চেয়ে স্বাস্থ্যকর। সমস্ত চর্বি ক্যালোরি সমৃদ্ধ, তাই পরিমিত ব্যবহার করুন। স্বাস্থ্যকর চর্বি সাধারণত মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ।

৫.  লবণ খাওয়া কমিয়ে দিন - আমরা সবাই জানি যে লবণ পানির ধারণ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রক্তচাপও বাড়ায়। আচার ও টিনজাত খাবারে লবণের পরিমাণ বেশি। টিনজাত খাবার এড়িয়ে চলা এবং কম লবণযুক্ত খাবার হার্টের জন্য চমৎকার।

Share this article
click me!