'অক্সিজেন থেরাপি' কোভিড১৯-এর চিকিত্সায় কার্যকর প্রমানিত হয়েছে। মহারাষ্ট্রের জলনায় লিক্যুয়িড অক্সিজেন প্ল্যান্টে থেকে রোগীদের সুস্থতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি কমেছে মৃত্যুর হারও। করোনা ভাইরাস আক্রান্তের জন্যই মহারাষ্ট্রের একটি সরকারী হাসপাতালে ১৫ আগস্ট স্থাপন করা এই অক্সিজেন প্ল্যান্টটি। এর উদ্বোধন করেছিলেন তথাকথিত রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপ।
কোভিড চিকিৎসায় অক্সিজেন থেরাপি-
সিভিল সার্জন অর্চনা ভোঁসলে 'পিটিআই-কে বলেছেন, "এই অ্যাম্বুলেন্সটি একবারে ১০০ জন রোগীকে অক্সিজেন সরবরাহ করে।" তিনি বলেছিলেন যে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের জন্য এই 'অক্সিজেন থেরাপি' অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য দফতরের উচ্চপদস্থ এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের এক জেলায় কোভিড -১৯ এর মৃত্যুর হার ছিল সাড়ে ৪.৫ শতাংশ। তবে এখন মৃত্যুর হার নেমে এসেছে ২.৮ শতাংশে। একই সময়ে, কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়া রোগীদের সংখ্যাও বেড়েছে। তিনি দাবি করেছেন যে করোনা থেকে বর্তমানে সুস্থতার হার এখন ৭১ শতাংশ। এছাড়া মধ্যপ্রদেশের ভোপালেও এই চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠার খবর মিলেছে।
অক্সিজেন থেরাপি কী?
কোভিড -১৯ এর আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অন্যতম লক্ষণ হল শ্বাসকষ্ট। যখন করোনার লক্ষণগুলি আরও তীব্র হয়ে ওঠে, তখন রোগীর শ্বাস নিতে অসুবিধা শুরু হয়। তাকে হাইপোক্সিয়া বলে। এই সমস্যা দেখা দিলে, শরীরে অক্সিজেনের অভাব হয়। ফলে রোগীর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বৃদ্ধি পায়। এই অক্সিজেন থেরাপির মাধ্যমে রোগীর শরীরে রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। যার কারণে রোগীর শরীরে অক্সিজেন-এর ঘাটতি মেটানোও সম্ভব হয়ছে। পাশাপাশি আক্রান্তদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থেকে স্বস্তিও পেয়েছে। এছারা এই অক্সিজেন থেরাপি ভাইরাসের বৃদ্ধির গতি কমাতে সাহায্য করে, ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এছাড়া কোভিড-১৯ এর দ্রুত বিস্তারে বাধা দেয়।