কাশি একটি খুব সাধারণ সমস্যা যার সম্পর্কে বেশিরভাগ লোক গুরুত্ব সহকারে ভাবেন না। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করে না। তবে আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে কাশির সমস্যায় ভুগছেন তবে তা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। এছাড়া যদি কাশির সঙ্গে, ঘন ঘন জ্বর, শ্বাস নিতে অসুবিধা, ভার্টিগো, গোড়ালি ফোলা বা ওজন কমে যাওয়া-সহ ঘন সবুজ-হলুদ কফ জাতীয় লক্ষণগুলি দেখতে পান তবে আপনার অবিলম্বে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
বর্ষাকালে গলা ব্যথা এবং কাশি হওয়া বেশ সাধারণ বিষয়। এর মধ্যে আপনার যদি ফুসফুসের সমস্যা হয় তখন তা কাশির মত সমস্যার সৃষ্টি করে। কাশি হল সর্দি বা ঠান্ডা লাগার সাধারণ লক্ষণ যা কয়েকদিন পরে সমাধান হয়। তবে বর্তমানে মহামারি আবহে কাশি করোনোভাইরাসের একটি প্রধান লক্ষণ। এমন পরিস্থিতিতে আপনার আরও সতর্ক হওয়া দরকার। তাই জেনে নিন কাশি থেকে মুক্তির কয়েকটি সহজ ঘরোয়া প্রতিকার।
সাধারণ কাশি কত দিন স্থায়ী হয়?
দীর্ঘসময় ধরে কাশি করোনভাইরাস সহ অনেকগুলি স্বাস্থ্য সমস্যা ইঙ্গিত হতে পারে। সাধারণত, কাশি এক বা দুই সপ্তাহ পরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশোধন করা হয়। এটি যদি বয়স্কদের মধ্যে আট সপ্তাহের বেশি এবং শিশুদের চার সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় তবে এটি দীর্ঘস্থায়ী কাশি হিসাবে বিবেচিত হয়। একটি গবেষণা অনুসারে, কোনও রোগের কারণে গড়ে কাশি প্রায় ১৮ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
দীর্ঘ সময় ধরে কাশিজনিত সমস্যার লক্ষণ-
শ্বাস প্রশ্বাসের সংক্রমণ: আপনার গলায় ফোলা বা জ্বালা অ্যালার্জির কারণে আপনার কাশি দীর্ঘ সময় ধরে থাকতে পারে।
হাইপারেক্টিভ গ্যাগ রিফ্লেক্স এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্স সমস্যা: এই দুটি শর্তই আপনার গলায় দীর্ঘমেয়াদী জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে এবং সময়ের সঙ্গে আপনার পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
ওষুধ থেকে সাবধান: এমন পরিস্থিতিতে আপনার প্রতিদিন যে ওষুধ খাচ্ছেন সেগুলি থেকে সাবধান থাকুন। রক্তচাপের কারণে যে ওষুধ খাওয়া হয় তার প্রভাবে আপনার কাশি দীর্ঘকাল ধরে চলতে পারে।
ধূমপানে থেকে বিরত থাকুন : ধূমপায়ীদের সাধারণত কাশির সমস্যা থাকে। এটি আসলে এমন একটি পদ্ধতি যা আপনার দেহ নিকোটিন মাধ্যমে শ্বাসনালী এবং ফুসফুসে প্রবেশ করে এমন রাসায়নিকগুলি সরিয়ে দেয়।
কাশি থেকে মুক্তির কিছু ঘরোয়া উপায়-
বেশিরভাগ লোক কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ওষুধের উপর নির্ভর করেষ তবে এই ওষুধগুলি গভীর সমস্যার পক্ষে অকার্যকর। এ জাতীয় পরিস্থিতিতে একটু যত্নবান হওয়া দরকার। আপনার গলা উপশম করতে এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলিও ব্যবহার করতে পারেন।
নুন জলে গার্গল করুন, আপনি যদি নুনের জল দিয়ে গার্গল করেন তবে এটি আপনাকে গলার জীবাণু মারতে সহায়তা করে এবং এটি গলা ব্যথাও নিরাময় করে।
মধু খান : মধু অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ, যা আপনার গলার জীবাণুগুলিকে হত্যা করতে সহায়ক। এ ক্ষেত্রে এক চামচ মধু শুকনো কাশিতে খুব কার্যকর। পাশাপাশি আপনি যদি ভেপার নিতে পারেন তবে গলাতে জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।