কীভাবে বুঝবেন আপনারও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি রয়েছে? শরীরের এই কয়েকটা অস্বস্তি বা সমস্যা জানান দেবে যে আপনাকে আরও সতর্ক হতে হবে বা দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শেষ ৪ বছরের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে হার্টের রোগ। হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেলিওর, উচ্চ রক্তচাপ থেকে করোনারি হৃদরোগে একের পর এক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। গবেষণা বলছে, ৩৫ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেশি দেখা যায়। পরিবর্তিত জীবনধারার কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে আপনাকে আপনার স্বাস্থ্যের প্রতি আরও যত্নবান হতে হবে এবং ফিট থাকার জন্য আপনাকে ভাল খাবারের পাশাপাশি আপনার দৈনন্দিন রুটিন পরিবর্তন করতে হবে। ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, ব্লাড প্রেসার, কোলেস্টেরলের মতো রোগ ঘরে ঘরে।
প্রতি দশ জনে দুজন একাধিক কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। গবেষণায় জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছরে এই ধরনের রোগের প্রকোপ বাড়ছে। গবেষণা বলছে সিজন চেঞ্জে স্ট্রোক, হার্ট ফেলিওর, কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা, অ্যারিথমিয়ার ঝোঁক বাড়ে। কীভাবে বুঝবেন আপনারও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি রয়েছে? শরীরের এই কয়েকটা অস্বস্তি বা সমস্যা জানান দেবে যে আপনাকে আরও সতর্ক হতে হবে বা দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বুকে ব্যথা অস্বস্তি
বেশিরভাগ হার্ট অ্যাটাকের আগে হয় বুকে ব্যথা, ঘাম, অস্থিরতা। এই সময়, বুকের মাঝখানে বা উল্টো দিকে প্রচণ্ড ভারী হওয়ার মত অনুভব করা, চেপে যাওয়া বা ফোলা ব্যথার অনুভূতি হয়।
দুর্বলতা মাথা ঘোরা
হার্ট অ্যাটাকের কিছুক্ষণ আগে, চোয়াল অথবা ঘাড় ব্যথা, পিঠে দুর্বলতা, মাথা ঘোরা বা ঠান্ডা ঘাম, ব্যথা বা অস্বস্তির অনুভূতি হতে পারে।
শ্বাসকষ্ট
ঠিকমতো শ্বাস নিতে না পারার মতো সমস্যা হল হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষ্মণ। অকারণে খুব ক্লান্ত বোধ করা, বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়াও হার্ট অ্যাটাকের আগে লক্ষণ হতে পারে। যদিও এই উপসর্গগুলি সাধারণত বেশি মহিলাদের মধ্যে দেখা যায়।
হার্ট অ্যাটাকের কারণ
হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা তখন হয় যখন হৃৎপিণ্ডের এক অংশে রক্তের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় যাতে রক্ত না আসতে পারে। দীর্ঘ সময় রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে হার্টের পেশী ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। এ কারণে হার্ট অ্যাটাকের মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়। হৃৎপিণ্ডের ধমনী অর্থাৎ হার্টের ধমনী হঠাৎ সরু হয়ে যাওয়াও হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। কারণ এমনটা হলে হার্টের পেশিতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।