রাজ্য সরাকরের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে একসঙ্গে ৪২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ল হাওড়া পুর এলাকায়। স্বাস্থ্য ভবনের রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, বর্তমানে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও সুস্থতার হার আশাব্যঞ্জক। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে একজায়গা থেকে একঝাঁক করোনা রোগীর খোঁজ মেলায় রাজ্য প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাজ যে আরও স্পষ্ট হল তা বলাই বাহুল্য।
দেশে তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হচ্ছে ১৭ মে। আর ১৮ মে শুরু শুরু হবে চতুর্থ দফার লকডাউন। তার আগেই হাওড়া পুরনিগমের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যাঁটরা থানা এলাকার নরসিংহ দত্ত রোড সংলগ্ন হরিজন বস্তিতে ৪২ জন বাসিন্তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, এই বস্তিতে অন্তত ২০০ টি পরিবার বসবাস করে। কয়েকদিন আগে বস্তির ১৩০ জনের লালা রস সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরীক্ষার রিপোর্ট এলে দেখা যায় ১৩০ জনের মধ্যে ৪২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তৎক্ষণাৎ হরিজন বস্তি এলাকার পুরোটা সিল করে দেওয়া হয়। আক্রান্তদের জেলার চারটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বস্তির বাকি সকলকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে হরিজন বস্তিতে যে কজন করোনা আক্রান্ত ধরা পড়েছে তাঁদের কারোর শরীরেই কোনওরকম উপসর্গের অস্তিত্ব ছিল না, যা প্রশাসনের চিন্তা আরও বাড়িয়েছে। এই বস্তির বাসিন্দারা অধিকাংশই সাফাই কর্মী হিসাবে কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই হাওড়া পুরনিগমেও কাজ করেন। একসঙ্গে এত লোক সংক্রমমের শিকার হওয়ায় এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
হাওড়া অবশ্য প্রথম থেকেই রেড জোন হয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় প্রশাসনের তরফে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও খাদ্যবস্তু বস্তিতে যোগান দেওয়া হচ্ছে। বস্তির কয়েকজন যুবককে এই কাজের জন্য সহযোগী হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।