১৫ শতাংশ ভারতীয়ের দেহে নিঃশব্দেই হয়েছে টিকাদান, তবে কী গোষ্ঠী অনাক্রম্যতা পেল ভারত

ভারতের মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশের দেহে নিঃশব্দেই হয়েছে টিকাদান

অর্থাৎ করোনাভাইরাস-এর সংস্পর্শে এসে তাদের দেহে তৈরি হয়েছে অ্যান্টিবডি

এমনটাই দাবি করেছে 'থাইরোকেয়ার' নামে একটি বেসরকারি পরীক্ষাগারের

তবে কি গোষ্ঠী অনাক্রম্যতা অর্জন করল  ভারত

ভারতের মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১৮ কোটি মানুষ সম্ভবত ইতিমধ্যেই নতুন করোনাভাইরাস-এর সংস্পর্শে এসেছেন এবং তাদের দেহে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এমনটাই দাবি করেছে 'থাইরোকেয়ার' নামে একটি বেসরকারি পরীক্ষাগার। আইসিএমআর-এর অনুমোদনে এই বেসরকারি পরীক্ষাগারে দীর্ঘদিন ধরে করোনাভাইরাস পরীক্ষা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তারা ৬০,০০০-এরও বেশি পরীক্ষা করেছে। আর সেই ৬০০০০ পরীক্ষার তথ্যের ভিত্তিতেই তারা এই দাবি করছে।

সম্প্রতি ওই গবেষণাগারটির ম্য়ানেজিং ডিরেক্টর ডাক্তার আরকিস্বামী ভেলুমণি টুইট করে তাদের ল্যাবে যে করোনা পরীক্ষা হয়েছে সেই সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। ডাক্তার ভেলুমণি জানিয়েছেন তার সেইসব তথ্য বিশ্লেষণ করে যেভাবে বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা করা হয়, সেইরকম পদ্ধতিতে একটি সার্বিক চিত্র তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। তাতেই দেখা যাচ্ছে প্রায় ১৫ শতাংশ দেশবাসী বা প্রায় ১৮ কোটি ভারতীয় ইতিমধ্যেই নিঃশব্দে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে টিকা পেয়ে গিয়েছেন, অর্থাৎ তাদের দেহে তৈরি হয়েছে করোনাভাইরাস রোধী অ্যান্টিবডি।

Latest Videos

সাধারণ জনমত সমীক্ষার তুলনায় তাঁদের এই অঙ্কের হিসাব অনেক বেশি নিখুঁত বলেও দাবি করেছেন ডাক্তার ভেলুমণি। কারণ, তাঁর মতে এটা ভারতের ইতিহাসে হওয়া 'সর্বাধিক সংগঠিত, সর্বশেষ ও দ্রুততম দেশব্যাপী অ্যান্টিবডি এক্সিট পোল সমীক্ষা'। দেশের ৬০০-রও বেশি পিন কোড এলাকা থেকে ৬০০০০-এরও বেশি নমুনা তাঁরা পরীক্ষা করেছেন। তবে তাঁদের হিবাসে ৩ শতাংশ অদল বদল হতে পারে।

ভেলুমণি আরও জানিয়েছেন, অসংগঠিত পরীক্ষাগারগুলির ক্ষেত্রে এই ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় ১০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। কিন্তু, তাঁদের মতো স্বীকৃত ও সংগঠিত ল্যাবগুলিতে কোভিড-১৯'এর অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় ভুয়ো ইতিবাচক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মাত্র ১ শতাংশ। কারণ তাঁরা আইসিএমআর এবং এনআইভি পুনের তত্ত্বাবধানে কোভিড -১৯'এর এলাইসা পরীক্ষা করেছে। এই পদ্ধতি উচ্চ সংবেদনশীল এবং সুনির্দিষ্ট ফল দিতে পারে বলে প্রণামিত।

অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় এই বেশি সংখ্যক ইতিবাচক ফল আসার অর্থ হল মানুষ আগের থেকে অনেক বেশি হারে সংক্রামিত হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে উৎস-ও জানা যাচ্ছে না যা গোষ্ঠী সংক্রমণের লক্ষণ। তবে তাঁদের তথ্য বিশ্লেষণ বলছে, সেখানে সর্বাধিক সংখ্যক অ্যান্টিবডি-পজেটিভ বেড়িয়েছে সেখাননেই ভাইরাসটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে থানে, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ এবং অন্যান্য ববেশ কয়েকটি শহর রয়েছে। সব জায়গাগুলিতেই সম্প্রতি কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে।

তবে, ভারত এখনও হার্ড ইমিউনিটি বা গোষ্ঠী অনাক্রম্যতা লাভ করেছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। ডাক্তার ভেলুমণি জানিয়েছেন ভারত এখন প্রায় ভাইরাস সংক্রমণের শীর্ষস্তরে পৌঁছে গিয়েছে। আর ভাইরাসটিও নিঃশব্দে এবং অতি দ্রুত টিকাদান করে চলেছে। আর তাই ভেলমণি মনে করছেন, ভারত সেই স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। তকারণ তাঁদের কাছে যে তথ্যভাণ্ডার রয়েছে, তা শুধুমাত্র যাদের কোভিড-১৯ এর উপসর্গ দেখা গিয়েছে বা কোভিড রোগীদের নিশ্চিত সংস্পর্শে এসেছেন, বা যারা নিজেরা পরীক্ষা করিয়েছেন তাদেরই তথ্য রয়েছে। এর বাইরে উপসর্গহীন অথচ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে এমন অনেকেই রয়েছেন।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

'তোর বউ তো খুব সুন্দর!' এরপরেই ঘটে গেল হাড়হিম করা ঘটনা! দেখুন | Barasat News Today
রাতের অন্ধকারে তাণ্ডব Basanti-তে! আতঙ্কে কাঁপছে গোটা গ্রাম | South 24 Parganas News Today
Bangladesh-এ এবার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের ভক্তদের উপর আক্রমণ, গর্জে উঠে যা বললেন Suvendu Adhikari
‘এমন পরিস্থিতি করবো ৭১-এর থেকেও তিনগুণ বেশি বুঝতে পারবে!’ Suvendu-র তীব্র হুঁশিয়ারি
হিন্দুনেতা Chinmay Krishna Das-এর গ্রেফতারি, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপের ঘোষণা Suvendu-র