দেশি তেজস-ই হল সঞ্জীবনী সুধা, চার বছর পর ফের জীবন পেল ঐতিহাসিক 'ফ্লাইং বুলেটস'

সুলুর বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে যাত্রা শুরু করল এলসিএ তেজস-এর দ্বিতীয় ইউনিট

বায়ুসেনায় ফিরল ঐতিহাসিক ১৮ স্কোয়াড্রন বা 'ফ্লাইং বুলেটস'

১৯৬৫ সালের এপ্রিলে তৈরি হয়েছিল এই বাহিনী

অনেক গর্বের ইতিহাস রয়েছে এই স্কোয়াড্রনের

 

amartya lahiri | Published : May 27, 2020 9:03 AM IST

বুধবার তামিলনাড়ুর সুলুর বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে যাত্রা শুরু করল দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি এলসসিএ তেজস জেট বিমানের দ্বিতীয় স্কোয়াড্রন। আর সেই সঙ্গে ফের বায়ুসেনায় ফিরল ঐতিহাসিক ১৮ স্কোয়াড্রন বা 'ফ্লাইং বুলেটস'। ১৯৬৫ সালের এপ্রিলে 'তীব্র আর নির্ভয়' - এই লক্ষ্য নিয়েই গঠিত হয়েছিল ১৮ স্কোয়াড্রন। তখন তাদের বাহন ছিল মিগ-২৭।

মিগ বিমানগুলি ক্রমশ পুরনো হয়ে যাওয়াতে, এক এক করে কার্যক্ষমতা হারাতে শুরু করে। 'ফ্লাইং বুলেটস'-এর ম্য়াগাজিন থেকে এক এক করে বুলেট কমে যেতে থাকে। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে পুরোপুরি বসে যায় এই স্কোয়াড্রন। তারপর থেকে বলা যেতে পারে এই বাহিনী ছিল শুধু নামেই। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে অবশ্য পুনরুজ্জীবনের আশা দেখায় বেঙ্গালুরুতে হ্যাল-এর কারখানায় তৈরি লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট তেজস জেট। দেশি বিমান চালানোর জন্য ফের প্রস্তুত করা শুরু হয় ১৮ স্কোয়াড্রন। আজ তার নতুন যাত্রা শুরু হল।

স্বাধীন ভারতের সামরিক ইতিহাসে একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে রয়েছে এই ১৮ স্কোয়াড্রন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে 'একাত্তরের যুদ্ধে' ভারতের জয়ে বডড় ভূমিকা ছিল এই বাহিনীর। স্কোয়াড্রন পাইলট ফ্লাইং অফিসার নির্মল জিৎ সিং পেয়েছিলেন পরমবীরচক্র পুরষ্কার। ভারতীয় বায়ুসেনাতে এখনও পর্যন্ত ওই একজনই এই সামরিক পুরষ্কার পেয়েছেন। পাক জেটবিমানগুলিকে প্রায় একার হাতে শ্রীনগরের আকাশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই কাহিনী আইএএফ-এর পাইলটদের কাছে এখনও দারুণ জনপ্রিয়। বলা যেতে পারে কিংবদন্তী হিসাবে রয়ে গিয়েছে।

জানা গিয়েছে এই বছর ১৮ স্কোয়াড্রন-এর হাতে মোট ১৬টি তেজস বিমান থাকবে। এই বছরর এপ্রিল মাসে তার দুটি এসে গিয়েছে। বাকিগগুলি ২০২১ সালের আগেই সরবরাহ করা হবে। তবে কোভিড-১৯ মহামারিরর জন্য কিছুটা বাড়তি সময়ও লাগতে পারে। তারপর হয়তো আরও আরও অনেক গর্বের বীরগাথা উপহার দেবে 'ফ্লাইং বুলেটস'।

 

Share this article
click me!