E-Shram Portal: কেন্দ্রের ই-শ্রম আবেদনে দ্বিতীয় স্থানে বাংলা, প্রথমে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ

কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক পরিযায়ী শ্রমিক-সহ অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের নথিভুক্তি শুরু করেছে ২০২০ সালের অগাস্ট মাসে। দেশের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা কত তা বোঝা যায় এই পোর্টাল থেকে। 

Web Desk - ANB | Published : Jan 9, 2022 1:27 AM IST / Updated: Jan 09 2022, 07:44 AM IST

দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের (worker) সামাজিক নিরাপত্তা দিতে গত অগাস্ট মাসে'ই-শ্রম' পোর্টাল (E-Shram portal) চালু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। আর সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, সেই পোর্টালে নাম নথিভুক্তদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। রাজ্যের প্রায় ২ কোটি ৪০ লাখ শ্রমিকের নাম এই পোর্টালে রয়েছে। আর নাম নথিভুক্তকরণের এই তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)।

কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক পরিযায়ী শ্রমিক-সহ অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের নথিভুক্তি শুরু করেছে ২০২০ সালের অগাস্ট মাসে। দেশের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা কত তা বোঝা যায় এই পোর্টাল থেকে। কারণ এতদিন দেশে কত পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন তা জানার কোনও উপায় ছিল না। আসলে এনিয়ে কোনও তথ্য রাখার মতো বিষয় ছিল না সরকারের কাছে। তাই এই পোর্টালে নির্মাণ প্রকল্পে নিযুক্ত কর্মী, পরিযায়ী শ্রমিক, রাস্তাঘাটে পণ্য বিক্রেতা, গৃহ সহায়িকা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের ৩৮ কোটি শ্রমিককে নথিভুক্ত করার লক্ষ্য ঠিক হয়। অনলাইনে এই পোর্টালে রেজিস্ট্রেশনে করতে হবে। গুগলে গিয়ে 'e-shram' লিখলেই হবে। রেজিস্ট্রেশনের পর দেওয়া হবে ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর সহ একটি ই-শ্রম কার্ড। তার মাধ্যমেই বিনামূল্যে ২ লক্ষ টাকার বিমা পাবেন শ্রমিকরা। পাশাপাশি প্রয়োজন অনুযায়ী এর মাধ্যমে শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হতে পারে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের পোর্টালে রাজ্যের নথিভুক্ত শ্রমিকদের এক হাজার টাকা করে অনুদানের ভাবনা চিন্তাও করছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই পোর্টালে নথিবদ্ধ কারও দুর্ঘটনা হলে তাঁকে বিমার সুবিধা দেওয়া হবে। মৃত্যু হলে বা পুরোপুরি অক্ষম হলে দেওয়া হবে ২ লক্ষ টাকা। আংশিকভাবে অক্ষম হলে ১ লক্ষ টাকা। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত এই পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করেছেন ৩৭ কোটি ২৩ লাখ ৬৩৯ জন শ্রমিক। আর এর মধ্যে শনিবার পর্যন্ত ই-শ্রম কার্ড পেয়েছেন ২০ কোটি ৫৯ লাখ ১৮ হাজার ৩৫০ জন। উত্তরপ্রদেশের মোট ৭ কোটি ২৭ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ জন নথিভুক্ত হয়েছেন। আর তালিকায় ঠিক তারপরই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নাম। সেখানে ২ কোটি, ৩৯ লাখ ৫ হাজার ৯৬৫ জন শ্রমিকের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা বিহারের শ্রমিক ১ কোটি ৯০ লাখ ৭৪ হাজার ৪৬ জন। এরপর চতুর্থ স্থানে রয়েছে ওড়িশা ও পঞ্চম স্থানে ঝাড়খণ্ড রয়েছে।

Share this article
click me!