১৪ বছরের মাথায় ঘোষিত হল গুজরাট বিস্ফোরণ মামলায় রায়, ৪৯ জন-কে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত

২০০৮ সালে আহমেদাবাদের বুকে ঘটেছিল একের পর বিস্ফোরণ। যা দেশের নিরাপত্তা কে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছিল। ঠিক একইভাবে সুরাঠেও পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করেছিল একাধিক বিস্ফোরক। দেশের বুকে নাশকতার ইতিহাসে গুজরাট বিস্ফোরণ এক ভয়াবহ স্থান দখল করে আছে। 

বিস্ফোরণের ছক কষা হয়েছিল। কিন্তু নাশকতা ঘটার আগেই সেখান থেকে ২৯ জায়গা থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সেগুলিকে সঙ্গে সঙ্গে নিস্ক্রিয়ও করা হয়েছিল। এই ঘটনা গুজরাট বিস্ফোরণ নামে নথিভুক্ত হয়ে আছে। ১৪বছরের মাথায় এই গুজরাট বিস্ফোরণ ২০০৮-এর মামলার রায় ঘোষণা করল আদালত। এতে ৪৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। গুজরাট পুলিশের দুর্দান্ত তদন্তের জন্য এত সংখ্যক লোককে দোষী সাব্যস্ত করা গিয়েছে বলে এদিন মন্তব্য করেছে আদালত। 

আদালত ২৮ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে এই মামলায়। সব মিলিয়ে মোট ৭৭জনের বিরুদ্ধে গুজরাট বিস্ফোরণে যুক্ত থাকার অভিযোগে মামলায় দায়ের হয়েছিল। দোষীদের বিরুদ্ধে বুধবার শাস্তি ঘোষণা করবে আদালত। দোষীদের সর্বোচ্চ সাজা-র দাবি জানিয়েছেন সরকার আইনজীবীরা। আহমেদাবাদের স্পেশাল আদালতে এই মামলা চলছিল। ২০২১-এর সেপ্টেম্বরেই শুনানি শেষ হয়েছিল গুজরাট বিস্ফোরণ মামলার। এরপর থেকেই অপেক্ষা চলছিল আদালতের রায় ঘোষণার। এদিন স্পেশাল কোর্টের বিচারক এ আর প্যাটেল এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। যদিও এর আগে একাধিকবার এই মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছিল রায় ঘোষণার জন্য। কিন্তু কোনও না কোনও কারণে রায়দান পিছিয়ে যায়। 

Latest Videos

২০০৮ সালে আহমেদাবাদে পরপর বিস্ফোরণ এবং সুরাটে বিস্ফোরক উদ্ধারের পর গুজরাট পুলিশ দেশজুড়ে চলা এক জঙ্গি নেটওয়ার্কের হদিশ পায়। আর সেই নেটওয়ার্কের সন্ধানে নেমেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ৭৭ জন। পুলিশ দাবি করে এরা সকলেই গুজরাট বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিল। এই তদন্ত নাম জড়ায় মুসলিম ছাত্র সংগঠন এবং বর্তমানে জঙ্গি সংগঠনের তকমা পাওয়া সিমি-রও। 
 

২০০৮ সালে আহমেদাবাদে পরপর বিস্ফোরণ এবং সুরাটে বিস্ফোরক উদ্ধারের পর গুজরাট পুলিশ দেশজুড়ে চলা এক জঙ্গি নেটওয়ার্কের হদিশ পায়। আর সেই নেটওয়ার্কের সন্ধানে নেমেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ৭৭ জন। পুলিশ দাবি করে এরা সকলেই গুজরাট বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিল। এই তদন্ত নাম জড়ায় মুসলিম ছাত্র সংগঠন এবং বর্তমানে জঙ্গি সংগঠনের তকমা পাওয়া সিমি-রও। 

তদন্তে পুলিশ জানায় বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত সকলেই ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন বা আইএম নামক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এদের সকলেরই সঙ্গে সিমি-র আবার যোগাযোগ ছিল। এমনকী তদন্তে পুলিশ এমনও দাবি করেছিল যে ২০০২ সালে গোধরা হিংসার পর একই ধরনের বিস্ফোরণের ছক কষেছিল জঙ্গিরা। ২০০৮ সালে শেষমেশ জঙ্গিরা যে বিস্ফোরণ ঘটায় তার তালিকায় আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে ট্রমা কেয়ার সেন্টারও নিশানা হয়েছিল। 

Share this article
click me!

Latest Videos

‘তৃণমূল কেমিক্যাল দিয়ে আমায় মারার প্ল্যান করছে’ তৃণমূলের চক্রান্ত ফাঁস করলেন অর্জুন সিং! দেখুন
Live: সাংবাদিক সম্মেলনে শমীক ভট্টাচার্য ও শিশির বাজোরিয়া, কী বলছেন, দেখুন সরাসরি
ইসকনের পাশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কড়া বার্তা দিলেন বাংলাদেশকে? Narendra Modi
ফের ইডির ভয়াল থাবা! মধ্যমগ্রাম কাঁপলো ইডির দুঃসাহসিক অভিযানে, দেখুন | North 24 Parganas | ED Raid
আর ৮ মাস! জুলাই-অগাস্টে রাজ্যে অকাল ভোট হতে চলেছে! জানালেন BJP সাংসদ | BJP News | Samik Bhattacharya