কোটি কোটি টাকা বা টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছে সেটি জাহাঙ্গির নামে এক ব্যক্তির। ঝাড়খণ্ডের গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা আলমগীর আলমের ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লালের বাড়ির সাহায্যকারী হলেন জাহাঙ্গির।
ভোটের মধ্যেই কোটি কোটি টাকা উদ্ধার ঝাড়খণ্ড থেকে। ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি থেকে গত ১২ ঘণ্টায় উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি নগদ টাকা। কমপক্ষে ৬ টাকা গোনার মেশিন দিয়ে কোটি কোটি টাকা গোনা হয়েছে। এখনও সব টাকা গোনা শেষ হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে টাকা গুণতে গুণতে কয়েকটি মেশিন ভেঙে গিয়েছিল। নতুন মেশিনও আনা হয়েছে।
যে ঘর থেকে কোটি কোটি টাকা বা টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছে সেটি জাহাঙ্গির নামে এক ব্যক্তির। ঝাড়খণ্ডের গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা আলমগীর আলমের ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লালের বাড়ির সাহায্যকারী হলেন জাহাঙ্গির। ঝাড়খণ্ড গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগের প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার বীরেন্দ্র রামের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৬টি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। তারপরই উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। রামকে গত বছরই সরকারি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ ও আর্থিক তছরুপ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঝাড়খণ্ড লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই এই টাকা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপি কংগ্রেস ও দলের নেতা মন্ত্রীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে। দুর্নীতির অভিযোগে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নির্বাচনী প্রচারে ওড়িশায় থাকলেও ঝাড়খণ্ডের টাকা উদ্ধার নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেছে। তিনি বলেন, প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ডে টাকার পাহাড় পাওয়া গেছে। 'এখন বলেন আমি যদি চাদের চুরি,তাদের উপার্জন, তাদের লুঠ বন্ধ করে তারা কি মোদীকে গালি দেবে না?' তবে তাঁকে খারাপকথা বলেও তিনি এজাতীয় কাজ বন্ধ করবেন না। তিনি আরও বলেন এই টাকা দেশের জনগণের। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডের বিজেপির প্রধান বাবুলাল মারাণ্ডি বলেন, সচিবের বাড়ি থেকেই কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। তাহলে মন্ত্রীদের বাড়ি থেকে আরও বেশি টাকা উদ্ধার হতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছেন। তিনি আরও বলেন, হেমন্ত সোরেনই এই রাজ্যে আর্থিক তছরুপের নীতি শুরু করেছেন।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর সঞ্জীব লাল সুই প্রাক্তন মন্ত্রীর সচিব হিসেবে কাজ করেছে। সঞ্জীব লাল সরকারি কর্মী। অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই তাঁকে সচিব হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছি। তবে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও কিছু ধরে নেওয়া ঠিক নয়।