১৯৮৭ সালে রামজন্মভূমি মুভমেন্টের সময় তৈরি হয়েছিল এই বাবরি মসজিদ। অযোধ্যা মসজিদ রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন জাফরিয়াব জিলানি। তৈরি করেছিলেন বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি।
অযোধ্যার (Aydhoya)বাবরি মসজিদ (babri masjid)ধ্বংসের(mosque demolition) পর কেটে গিয়েছে প্রায় তিন দশক(30 Years After)। বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি বা BMAC-র তরফে জানা গিয়েছিল ১৯৮৭ সালে রামজন্মভূমি মুভমেন্টের সময় তৈরি হয়েছিল এই বাবড়ি মসজিদ। বর্তমানে এটি একটি বিলুপ্ত সংস্থায় পরিণত হয়েছে। সেই সঙ্গে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন জাফরিয়াব জিলানি(Zafaryab Jilani)। সেই সময়ের প্রভাবশালী মুসলিম সংগঠনের একমাত্র সদস্য ছিলেন তিনি,যিনি অযোধ্যা মসজিদ রক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। শুধু তাই নয় আইনি লড়াইয়েরও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাফরিয়াব জিলানি(Zafaryab Jilani)। প্রথমসারির এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাফরিয়াব জিলানির ছেলে নাজাম জিলানি বলেন,বর্তমানে সেই কমিটিতে সক্রিয় সদস্য(No Active memberin commitee) আর নেই বললেই চলে। তাঁর বাবা জাফরিয়াব জিলানির অসুস্থ হওয়ার পর নেতৃত্ব দেওয়ার মতও কেউ নেই সেই কমিটিতে। তাই বর্তমানে একপ্রকার নিষ্ক্রিয় হয়েই পড়ে রয়েছে(defunct body)বাবড়ি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি(BMAC)। মসজিদ ধ্বংসের কারণ নিয়ে যখন বাবরি মসজিদ কমিটি তাঁদের কাজ শুরু করে সেই সময় টার্বুলনেট বছরগুলিতে লাইমলাইটে উঠে এসেছিল বাবড়ি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি। প্রাক্তন কূটনীতিক ও রাজনীতিবিদ সায়াদ শাহাবুদ্দিন সহ বেশ কয়েকজন সদস্য যেমন ইমন ভুকারি, মৌলানা উবাইধুলা আজমি, এসপি লিডার আজম খান ও হায়দরাবাদ রাজনৈতিকবিদ সুলতান সালাউদ্দিন ওয়াসি নিজেদেরকে মুসলিম সংগঠনের চ্যাম্পিয়ন হিসাবে উপস্থাপন করেছিলেন।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরও বাবড়ি মসজিদ অ্যাকটিভ কমিটির তরফে ৬ ডিসেম্বর এই দিনটিকে কালো দিন হিসাবে পালন করত। সেই সঙ্গে পোস্টার নিয়ে বিপ্লবও করেছে এই কমিটি। ২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় বেড়নোর পর যখন বাবড়ি মসজিদের জমি ৩ টি ভাবে ভাগ হয়ে গেল তখন থেকেই বাবড়ি মসজিদ কমিটি মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে তাঁদের বিশ্বাস হারাতে শুরু করে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পর বাবড়ি মসজিদ কমিটিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং সেই কমিটির ওপর অভিযোগ আনা হয় যে মামলার রায় মুসলিম সম্প্রদায়ের পক্ষে হওয়ার জন্য তাঁদের তরফে কোনও জোড়দার পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কমিটিকে এই বিষয়টির স্বপক্ষে যথোপযুক্ত কারন দেখানোর জন্য জোড় দেওয়া হয়। এরপর ফের যখন লক্ষ্মৌ-র স্পেশাল সিবিআই কোর্টের তরফের রায়ও যখন মুসলিম সম্প্রদায়ের বিপক্ষে গেল তখন আবার গোটা মুসলিম সম্প্রদায়ের রক্তচক্ষুর শিকার হল এই বাবরি মসজিদ কমিটি ও তার সদস্যরা।
আরও পড়ুন-'বাবরি রায় অবিশ্বাস্য', 'ষড়যন্ত্র' নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব
আরও পড়ুন-মাস্ক পরেই রামলালার পুজো প্রধানমন্ত্রীর, রামমন্দির অনুষ্ঠানেও করোনা নিয়ে উদ্বেগ
আরও পড়ুন-'মোদীর জন্য সম্ভব হয়েছে রামমন্দির নির্মাণ', হাসপাতাল থেকে বার্তা করোনা আক্রান্ত অমিত শাহর
১৯৮৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যখন বাবড়ি মসজিদের দরজা খুলে দেওয়া হয় তখন বাবরি মসজিদ মুভমেন্টের জন্য কমিটি গঠন করেছিলেন সেই সময়ের জনতা পার্টির প্রধান সৈয়দ সাহাবুদ্দিন। পরের বছর মার্চ মাসে বেশ কয়েকজন মুসলিম লিডারদের নিয়ে তৈরি হয় বাবড়ি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি। যদিও এই কমিটি কোনও নিবন্ধিত সংস্থা নয়। জাফরিয়াব জিলানির নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন মুসলিম ব্যাক্তিত্ব নিয়ে বাবড়ি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি পরিচালিত হত। বর্তমানে এই কমিটির অস্তিত্বনেই ঠিকই, তহে একটা সময় জনতা দল ও কংগ্রেস লিডারদের অনেক সাহায্য পেয়েছে।