মোট ৩৩জন মন্ত্রীর নামে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ৩৩জন মন্ত্রীর মধ্যে ২৪ জন খুন, খুনের চেষ্টা বা ডাকাতির মতো ঘটনায় যুক্ত।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের মন্ত্রিসভা। দিন কয়েক আগেই শপথ নিয়েছেন নতুন মন্ত্রীরা। বড়সড় রদবদল হয়েছে ক্যাবিনেটে। কিন্তু জানেন কি, মোদীর নতুন মন্ত্রিসভায় যাঁরা রয়েছেন, বা জায়গা পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৪২ শতাংশ মন্ত্রীই দাগী অপরাধী? হ্যাঁ, এমনই তথ্য তুলে ধরছে দ্যা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস বা এডিআর (ADR)। এডিআরের দাবি এই ৪২ শতাংশ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ। এরমধ্যে কেউ খুনের মামলায় সরাসরি যুক্ত, কেউ বা আবার খুনের চেষ্টার অভিযোগে যুক্ত।
রিপোর্ট বলছে মোদীর মন্ত্রিসভার চার জন সদস্য সরাসরি যুক্ত খুনের মামলায়। মোট ৩৩জন মন্ত্রীর নামে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। সেই মামলাগুলি রীতিমতো আদালতে চলছে। ৩৩জন মন্ত্রীর মধ্যে ২৪ জন খুন, খুনের চেষ্টা বা ডাকাতির মতো ঘটনায় যুক্ত। অন্যদিকে শুধু অপরাধই নয়, মোদীর নতুন মন্ত্রীদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই কোটিপতি। অর্থাৎ তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ কোটি টাকারও বেশি। কারা কারা রয়েছেন এই তালিকায়, দেখুন
১. জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (৩৭৯ কোটিরও বেশি সম্পত্তি)
২. পীযূষ গোয়েল (৯৫ কোটি)
৩. নারায়ণ রানে (৮৭ কোটি)
৪. রাজীব চন্দ্রশেখর (৬৪ কোটি)
মন্ত্রিসভার এই চারজন সদস্য নিজের সম্পত্তির পরিমাণ ৫০ কোটিরও বেশি বলে ঘোষণা করেছেন। তবে নীচের তালিকায় নাম রয়েছে যাঁদের, তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ বাকিদের তুলনায় সবচেয়ে কম।
১. প্রতিমা ভৌমিক (৬ লক্ষ)
২. জন বার্লা (১৪ লক্ষ)
৩. কৈলাশ চৌধুরী (২৪ লক্ষ)
৪. বীরেশ্বর টুডু (২৭ লক্ষ)
৫. ভি মুরলিধরণ (২৭ লক্ষ)
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হলে মোট ৪৩ জন নতুন মন্ত্রী পদ ও গোপনীয়তার শপথ গ্রহণ করেন। শপথ গ্রহণকারীদের মধ্যে ১৫ জন পূর্ণ মন্ত্রী অর্থাৎ ক্যাবিনেট মিনিস্টার, বাকি ২৮ জন হলেন প্রতিমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ সকলকে শপথবাক্য পাঠ করান।
এ বারের নতুন মন্ত্রিসভার অন্যতম বৈশিষ্ট হল সর্বাধিক মহিলা মন্ত্রীর উপস্থিতি। সব মিলিয়ে এবার টিম মোদীতে আসন অলঙ্কৃত করবেন ১১ জন মহিলা মন্ত্রী। ২০১৪ সালে প্রথম মোদী মন্ত্রিসভায় মহিলা মন্ত্রীর সংখ্যা ছিল ৭। আর ২০১৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরে ৬ জন মহিলাকে মন্ত্রী করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মহিলা ছাড়াও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব এবং তার পাশাপাশি চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, প্রযুক্তিবিদ, উদ্যোগপতি এবং অন্যান্য পেশাদারদের মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হয়েছে।