বৃহস্পতিবার ভোররাতে গুজরাতের রাজধানী আহমেদাবাদের এক করোনা হাসপাতালে বিধ্বংসী আগুন লাগল। এরফলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৮ জন করোনী রোগীর। মৃতের মধ্যে ৩ মহিলাও রয়েছে। এদিকে ইতিমধ্যে এই হাসপাতালে ভর্তি ৩৫ জন রোগীকে অন্য হাসপাতালে সরানো হয়েছে।
জানা যাচ্ছে আহমেদাবাদের নভরঙ্গপুরার শ্রে হাসপাতালে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। করোনা আবহে বেসরকারি এই মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল। ভোররাতে আগুন লাগে হাসপাতালে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে। ঝলসে যান আট কোভিড রোগী। সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় তাঁদের চিকিৎসাও শুরু হয়, কিন্তু বাঁচানো যায়নি।
৫০ শয্যার এই হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন লাগার সময় ৪৫ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। সূত্রের খবর, ভোর রাত ৩টে নাগাদ হাসপাতালের আইসিইউ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। প্রথম খেয়াল করেন হাসপাতালের রক্ষীরা। জানা গিয়েছে, কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আইসিইউ ও তার আশপাশের ওয়ার্ডগুলিতে। আতঙ্কে চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায়। খবর যায় দমকলে। আইসিইউ থেকে রোগীদের উদ্ধারের আগেই পুড়ে যান আটজন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শরীরের অর্ধেকের বেশি ঝলসে গিয়েছিল।
এই ভয়াবহ আগুনের ফলে ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা হাসপাতাল। অসুস্থ অবস্থাতেই প্রাণ বাঁচাতে ছুটে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন অনেক রোগী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। হাসপাতালে এহেন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে রোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। যে সমস্ত রোগীদের অন্যত্র সরানো হয়েছে, তাঁদের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে করোনা হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই ট্যুইট করেন উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী এবং আহমেদাবাদের মেয়রকে সাহায্যের সবরকম আশ্বাস দেন তিনি। মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করেন তিনি। আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকার ঘোষণা করা হয়য়।
আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে স্থানীয়দের ধারণা, শর্ট সার্কিটের ফলেই এই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে অতিরিক্ত মুখ্য সচিবকে তদন্ত করে ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি।