কাউন্ডটাউন শুরু... ১৭ দিন পরে 'ইঁদুরের গর্ত' দিয়ে আজই বেরিয়ে আসতে পারে উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গের ৪১ শ্রমিক

১৭ দিন পরে মঙ্গলবার তাঁরা বেরিয়ে আসতে পারেন সুড়ঙ্গের অন্ধকার থেকে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি তেমনই ইঙ্গিত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছেন।

 

 

প্রাচীন আর বাতিল হয়ে যাওয়ার পদ্ধতিতেই প্রাণ বাঁচিয়ে দিয়ে পারে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর সিল্কিয়া টানেলে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকের। ১৭ দিন পরে এদিনই তাঁরা বেরিয়ে আসতে পারেন সুড়ঙ্গের অন্ধকার থেকে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি তেমনই ইঙ্গিত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছেন। উত্তরাখণ্ডের টানেলে আটকে পড়ে শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছে বাংলার দুই শ্রমিকও।

Latest Videos

টানেল থেকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়েছিল অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আমেরিকার তৈরি অগার মেশিন। ৬০ মিটার শিলা খনন করতে ব্যর্থ হয়। তারপরই আধুনিক প্রযুক্তি ছেড়ে প্রাচীন দেশীয় পদ্ধতি ইঁদুরের গর্ত খুঁড়েই শ্রমিকদের উদ্ধার করে আনার পরিকল্পনা শুরু হয়। সোমবার সন্ধ্য ৭টা থেকেই শুরু খননকাজ। তিনটি শিফটে টানা ২৪ ঘণ্টা কাজ করেই শ্রমিকদের উদ্ধারের পরিকল্পনা করা হয়। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে জানিয়েছেন, 'বাবা বউখ নাগজি (এবং) কোটি কোটি দেশবাসীর প্রার্থনা এবং সমস্ত উদ্ধারকারী দলের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলস্বরূপ... শ্রমিকদের বের করার জন্য টানেলে পাইপ বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শীঘ্রই সকল শ্রমিক ভাইদের বের করে আনা হবে।'

অন্যদিকে উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের জন্য তৈরি রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। স্ট্রেচার সহ জরুরু চিকিৎসা কর্মীরা ইমিধ্যেই সুড়ঙ্গের কাছেই রয়েছে। গুহার পথেই স্ট্যান্ডবাই অবস্থায় রয়েছে। আটকে পড়া শ্রমিকদের অবস্থার মূল্যায়ন করেই তাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার কাজও শুরু করা হবে। টানেলের মুখেই একটি অস্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সেখানেই প্রয়োজনে প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে। দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স।

rat hole mining পদ্ধতিতেই সম্পন্ন হতে চলেছে উদ্ধারকাজ। ব়্যাট হোল মাইনিং এর বাংলা করলে দাঁড়ায় ইঁদুরের গর্ত খনন। মেঘালয়ের প্রচলিত এই খনন কার্য। একটি সরু আর সমান্তরান গর্ত খোঁড়া হয়। সেখান থেকেই কয়লা উত্তোলন করা হয়। দেখতে হয় অনেকটা ইঁদুরের গর্তের মত। খুব সরু। একজন ব্যক্তি সেখান দিয়ে কয়লা নিয়ে ওঠানামা করতে পারে। গর্ত খোঁড়া হয়ে গেলে শ্রমিকরা দড়ি বা বাঁশের মই ব্যবস্থার করে কয়লার উত্তোলন করে। তারপর কয়লা বেলচা ও ঝুড়ির মত প্রচীন সরঞ্জাম ব্যবহার করে ম্যানুয়ালি উত্তোলন করা হয়। ইঁদুরের গর্ত খনন উল্লেখযোগ্য নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত বিপদ সৃষ্টি করে। খনিগুলি সাধারণত অনিয়ন্ত্রিত, যথাযথ বায়ুচলাচল, কাঠামোগত সহায়তা, বা শ্রমিকদের জন্য সুরক্ষার অভাব রয়েছে। এতে ভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটির কাজও খুব বিপজ্জনক।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

২৬ এর নির্বাচনে কী থাকবেন ফিরহাদ হাকিম? বাতলে দিলেন শমীক ভট্টাচার্য #shorts #shortsfeed #bjp #tmc
হাড়োয়ায় তৃণমূল জিততেই বিজেপি প্রার্থীর জমি তচনচ, ক্ষোভ উগরে যা বললেন Samik Bhattacharya
'ভোট ব্যাঙ্কের জন্যই WAQF Board তৈরি করেছে Congress' বিস্ফোরক PM Modi | PM Modi Speech
Live | India vs Australia : পারথে সাড়ে তিন দিনে টেস্ট জয়, বিদেশের মাটিতে ভারতের সেরা সাফল্য?
সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু! তার আগেই বিরোধীদের কড়া বার্তা PM Modi | Parliament Winter Session 2024