ছত্তিশগড়ে মাওবাদী দমনে বড় সাফল্য নিরাপত্তাবাহিনীর।
ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে, ইন্দ্রাবতী জাতীয় উদ্যানে প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে মাওবাদী দমন অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী। এই অভিযানে অন্তত ৩১জন মাওবাদী নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বিজাপুরের জাতীয় উদ্যানে প্রায় ৫০ জন মাওবাদী জড়ো হয়েছিল।
আর গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, এরপর সেই জঙ্গলে অভিযান চালান নিরাপত্তাবাহিনীর জওয়ানেরা। প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে চলা গুলির লড়াইতে অন্তত ৩১ জন মাওবাদীকে নিকেশ করেন জওয়ানরা। তবে শহীদ হয়েছেন দুই জওয়ানও।
আর ৩১ জন মাওবাদীর মৃত্যুর পর এবার হুঁশিয়ারি দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখেছেন, “নকশালমুক্ত ভারত গঠনের লক্ষ্যে ছত্তিশগড়ে বড় সাফল্য পেয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী। এই অভিযানে ৩১ জন নকশালের মৃত্যুর পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র এবং বিস্ফোরকও উদ্ধার করা হয়েছে। মানবতা বিরোধী নকশালবাদ বন্ধ করতে গিয়ে আজ আমরা দুই সাহসী জওয়ানকে হারিয়েছি।”
তবে অমিত শাহ আরও একবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আগামী ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে নকশালবাদকে নির্মূল করা হবে। ছত্তিশগড়ে এই অভিযানের পরেই চলতি বছরে অন্তত ৮৬ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে সেই রাজ্যে। এদিকে ১৬ জানুয়ারির আরেকটি অভিযানে ছত্তিশগড়-তেলঙ্গানা সীমানায় ১৮ জন মাওবাদী নিহত হয়।
গত ২-২১ জানুয়ারি, আরও ১৬ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছিল নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে। আর ওই অভিযানেই মৃত্যু হয় অন্যতম মাওবাদী শীর্ষনেতা জয়রাম রামচন্দ্র রেড্ডি ওরফে চলপতির। যার মাথার দাম ছিল মোট এক কোটি টাকা।
তারপর ১ ফেব্রুয়ারি, বিজাপুরের এক অভিযানে ৮ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়। এখনও পর্যন্ত চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত রবিবারের ঘটনাই ছত্তিশগড়ের সবচেয়ে বড় মাওবাদী দমন অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, গত ১৪ মাসে ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে মোট ২৭৮ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।