'করোনা পরবর্তী বিশ্বে সব হিসেব বদলে যাবে' লকডাউনের সমালোচনা করে বললেন রাহুল গান্ধী

দুই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করেন রাহুল গান্ধী
করোনা পরবর্তী বিশ্ব বদলে দেবে সব হিসেব
মার্কিন ও চিনের শক্তির ভারসাম্যেরও পরিবর্তন হবে
আশা প্রকাশ করেছেন কংগ্রেসের সাংসদ 

Asianet News Bangla | Published : May 27, 2020 11:51 AM IST / Updated: May 27 2020, 05:22 PM IST

'করোনাভাইসের তাণ্ডব শেষ হলেই একটি নতুন বিশ্ব দেখতে পাব আমরা। পাশাপাশি দেখতে পাব চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শক্তির ভারসাম্যের পরিবর্তনও'। বুধবার দুই চিকিৎসাবিশেষজ্ঞর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এমনই আশা প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছেন,  করোনাভাইরাসোত্তর বিশ্বে নতুন ভাবে দেখা যাবে ইউরোপকে। তাঁর কথায় ১১ সেম্পেম্বর যদি একটি অধ্যায় হয় তাহলে করোনাভাইরাস একটি বই। 

বুধবার কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অশিস ঝা ও সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক জোহান জিসেকেক-ের সঙ্গে আলোচনা করেন। সেই আলোচনাতেই জিসেকেক বলেন করোনাভাইরাস খুবই হালকা একটি রোগ। কিন্তু এটি কাবু করে ফেলেছে গোটা বিশ্বকে।রাহুল গান্ধী বলেন এই রোগটি হালকা হলেও অধিকাংশ মানুষই সচেতন নন। তাই এটি ক্রমশই ছড়িয়ে পড়েছে। এই রোগের হাত থেকে বয়স্ক ও ছোটদের রক্ষা করা খুবই প্রয়োজনীয়। একই সঙ্গে রাহুল গান্ধী বলেন, এই করোনায় আক্রান্ত হয়ে যত জনের মৃত্যু হচ্ছে তার থেকে বেশি মানুষের মৃত্যু হবে  লকডাউনের কারণে। ধীরে ধীরে লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজনী বলেও তিনি জানিয়েছেন। 

দুই বিশেষজ্ঞগের সঙ্গে কথপোকথনের সময় রাহুল গান্ধী বলেন, যেসব রাজ্য বা দেশগুলিতে ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের ব্যবস্থা রয়েছে, তারা অনেক বেশি ভালোভাবে কাজ করতে পারছে। করোনাভাইরাস এমন একটি রোগ যার সঙ্গে কোনও মানুষ কখনও একা একা লড়াই করতে পারে না। একটি সামগ্রিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই মারাত্ম ছোঁয়াচে জীবানুকে কাবু করতে হবে। তবে জাতি ধর্ম বর্ন নির্বেশেষ করোনাভাইরাস ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে শিখিয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন এর রোগটি আবার মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে থাকতে শেখাবে। তাঁর কথায় এই রোগটি বিশ্বায়নের স্নায়ুকেন্দ্রগুলিতেই আঘাত করেছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বহু মানুষ। 

রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আলোচনায় আশিস ঝা বলেন, দেশের সমগ্র মানুষের পরীক্ষা করা সম্ভব নয়। কিন্তু পুল টেস্টের ওপর তিনি জোর দিয়েছেন। পাশাপাশি জানিয়েছে ২০২১ সালের মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধ বা ওষুধ আবিষ্কার হয়ে যাবে। চিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালের পরীক্ষা অনেক দূর এগিয়েছে। যেকোনও একটি বা তিনি ওধুষই কাজ করবে বলেও তিনি আশাবাদী। 

 

Share this article
click me!