২০শে জানুয়ারি পর্যন্ত ২,৮৪৭টি করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এরমধ্যে ৮৭৫জন সংসদীয় স্টাফের রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
বাজেট অধিবেশন (Budget session of Parliament) শুরুর আগেই ধাক্কা। একসঙ্গে করোনা আক্রান্ত (COVID-19 positive) ৮৭৫ জন (875 staff) সংসদ কর্মী। ফলে অধিবেশন চলা নিয়ে জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সরকারী সূত্র অনুসারে, ২০শে জানুয়ারি পর্যন্ত ২,৮৪৭টি করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এরমধ্যে ৮৭৫জন সংসদীয় স্টাফের রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এর মধ্যে, রাজ্যসভা সচিবালয় থেকে মোট ৯১৫টি পরীক্ষা করা হয়েছিল, যার মধ্যে ২৭১টি রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে।
রবিবার বিকেলে, উপরাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুও হায়দ্রাবাদে COVID-19-এ আক্রান্ত হন। পরে তিনি আইসোলেশনে যান। টুইটারে উপ-রাষ্ট্রপতি বলেন, দিন কয়েকের মধ্যে যারা তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, তারা যেন নিজেদের পরীক্ষা করান। উল্লেখ্য, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ২০২১ সালেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। নির্দেশ অনুসারে, আন্ডার সেক্রেটারি বা এক্সিকিউটিভ অফিসারের পদমর্যাদার ৫০ শতাংশ আধিকারিক এবং কর্মীদের এই মাসের শেষ পর্যন্ত বাড়ি থেকে কাজ করতে হবে। তারা মোট কর্মচারীর প্রায় ৬৫ শতাংশ বলে জানা গিয়েছে।
সংসদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বাজেট অধিবেশনের আগে সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মীদের মধ্যে ভাইরাসের বিস্তার রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিবন্ধী এবং গর্ভবতী মহিলাদের অফিসে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। ভিড় এড়াতে সচিবালয়ের শুরু ও বন্ধের সময় শিথিল করা হয়েছে। সমস্ত অফিসিয়াল মিটিং ভার্চুয়াল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে সমস্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা উচিত। আক্রান্তদের কীভাবে চিকিৎসা চলছে, তা দেখতে হবে। প্রয়োজনে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসায় সহায়তা করা হবে। একটি সাম্প্রতিক সার্কুলারে, লোকসভা সচিবালয় বলেন যে আন্ডার সেক্রেটারি স্তরের নীচের ৫০ শতাংশ অফিসার নির্দিষ্ট করে দেওয়া দিনে অফিসে আসতে পারেন। লিফট এবং করিডোরে যাতায়াতের ভিড় এড়াতে একটি নির্দিষ্ট দিনে অফিসে উপস্থিত সমস্ত কর্মচারীদের কাজের সময় সকাল ১০টা থেকে ১০.৩০য়ের মধ্যে স্থির করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে মোট ৩.০৬ লক্ষ (৩,০৬,০৬৪) নতুন করোনা আক্রান্তকে সনাক্ত করা হয়েছে। ফলে, বর্তমানে ভারতের মোট কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা ৩.৯৫ কোটিতে পৌঁছে গেল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (USA) পর, ভারতই এখন বিশ্বের মধ্যে কোভিডে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দ্বিতীয় দেশ। দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমলেও, ভারতে করোনাভাইরাস মহামারির তৃতীয় তরঙ্গের (COVID-19 Third Wave) প্রভাব কিন্তু কমেনি। মহামারি কী অবস্থার আছে, তা বোঝা যায় দৈনিক ইতিবাচকতার হার (Positivity Rate) দিয়ে। অর্থাৎ, করোনাভাইরাস পরীক্ষার কত শতাংশ ইতিবাচক হচ্ছে। ভারতের দৈনিক ইতিবাচকতার হার ১৭.৭৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০.৭৫ শতাংশ হয়েছে।