লাদাখ নিয়ে মোদী বিরোধী রাজনীতিতে বামেদের চিন নীতি, একই অঙ্গে কেন দুই রূপ

  • লাদাখ ইস্যুতে আবারও সরব বামেরা 
  • সমস্যা মেটাতে আলোচনা দাওয়াই 
  • আমেরিকার সঙ্গ ছাড়াই আলোচনার প্রস্তাব 
  • চিনা কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ে বামেদের অবস্থান 


লাদাখ ইস্যুতে চিনের সঙ্গে চলমান সমস্যা মিটিয়ে নিয়ে আবারও সরব হয়েছে সিপিএম। পশ্চিমবঙ্গ সিপিএমএর তরফ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানান হয়েছে, জাতীয় স্বার্থেই সীমান্ত ইস্যুতে আলোচনার মাধ্যমে চিনের সঙ্গে সমস্যা সমাধান করে নেওয়া উচিৎ।  চিন বিরোধী দলের সদস্য হিসেবে পরিচিত আমেরিকা ও তার সহযোগী দলগুলির সঙ্গে এক সারিতে না থেকে সীমান্তে বর্তমান বিরোধীগুলি মীমাংসার জন্য চিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসা উচিৎ ভারতের। আর এতে জাতীয় স্বার্থ উপকৃত হবে বলেও জানান হয়েছে সোশ্যাস মিডিয়ার বার্তায়।

একটা সময় বামপন্থীদের স্লোগান ছিল চিনের চেয়ারম্যান আমাদের চেয়ারম্যান। আর ১৯৬২ সালে চিন ভারত যুদ্ধের পরেই এই দেশে সিপিএম দুভাগে ভাগ হয়ে যায়। কিন্তু এখনও দেশের বামপন্থীরা যে কিছুটা হলেও চিনের দিকে ঝুঁকে রয়েছে তা কিছুটা হলেও স্পষ্ট হয়েছে সিপিএমএর সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায়। কারণ এখানেও আমেরিকার সঙ্গ ত্যাগ করে চিনের সঙ্গে আলোচনায় বসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। এই ঝোঁক অবশ্য প্রথম থেকেই ছিল। লাদাখ ইস্যুতে কিছুটা হলেও নীরব ছিলেন দেশের প্রথম সারির বাম নেতৃত্ব। তবে তাঁরা প্রথম থেকেই সরব ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি নিজেদের চিন বিরেধী অবস্থানও স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছিল। 


লাদাখ ইস্যুতে প্রথম থেকেই ভারত পাশে পেয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। দক্ষিণ চিন সাগরের মহড়ায়ও মার্কিন নৌবাহিনীর পাশে ভারতীয় বাহিনীকেও দেখা গেছে। কিন্তু লাদাখের পরিস্থিতি যদি আরও খারাপ হয় তাহলে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কতটা সহযোগিতা পাবে তাই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এই অবস্থায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পর চিন বিরোধী দেশগুলিকে নিয়ে একটি জোটের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করছে ভারত। চিনে বিনিয়োগে যেসব লগ্নিকারীরা উৎসহ হারাচ্ছে তাদের জন্য ইতিমদ্যে দরজা খুলতে শুরু করেছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে বামেরা আবারও জোট মুক্ত হয়ে চিনের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তবা দিয়েছে। 

অন্যদিকে নিজেরা কিন্তু সযন্তে এড়িয়ে চলেছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে। কারণ সদ্যোই নেপালের কমিউস্ট পার্টির প্রধান মাধবকুমার নেপাল দক্ষিণ এশিযার কমিউনিস্ট পার্টিগুলির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনার ব্যবস্থা করেছিলেন। আর সেই বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য ভারতের সিপিএম, সিপিআর ফরোয়ার্ড ব্লকের শীর্ষ নেতৃত্বকে আহ্বান জানান হয়েছিল। কিন্তু সেই আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে রাজি হয়নি বামেরা। সূত্রের খবর লাদাখে চিনা আগ্রাসনের কারণেই চিনা কমিউনিস্ট পার্টিকে এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি চিন নেপালে ও নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির অভ্যন্তরেও প্রভাব খাটাচ্ছে এই অভিযোগেই এড়িয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই সম্মেলন। গালওয়ান সংঘর্ষের পরেও চিনা কমিউনিস্ট পার্টির দেওয়া আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল এদেশের বামেরা।  

Share this article
click me!

Latest Videos

২৬-এ Mamata Banerjee-কে বিদায়! মমতাকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বানানোর শপথ Suvendu Adhikari-র
বাংলাদেশে এবার খ্রিষ্টানদের বড়দিনের অনুষ্ঠানে হামলা, দেখুন এই ইস্যতে কী বললেন Suvendu Adhikari
Narendra Modi : বড়দিনের অনুষ্ঠানে মাতলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সকলকে জানালেন শুভেচ্ছা
পুরো রুট বলেদিলেন! জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য এই বাংলা! শুভেন্দুর কথায় অশনি সংকেত | Suvendu Adhikari
বাংলাদেশের হুমকি! হেসেই উড়িয়ে দিলেন প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান অরূপ রাহা | Kolkata News |