ফের মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার। দুইমাসে দ্বিতীয়বারের জন্য এই পদে বসলেন তিনি। গত মাসেই তিনি দলের বাকি বিধায়কদের অন্ধকারে রেখে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। ৮০ ঘন্টার দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরকারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হন। এবার একই পদে বসলেন মহা বিকাশ আগাড়ি, অর্থাৎ শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস সরকারের হয়ে।
৮০ ঘন্টার বিদ্রোহের শেষে অজিত পওয়ারকে সাড়ম্বরেই ফিরিয়ে নিয়েছিল এনসিপি। তারপর থেকেই তাঁকে ফের উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদে দেখা যাবে বলে শোনা যাচ্ছিল। তবে এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অজিত পওয়ার অবশ্য জানিয়েছিলেন তিনি কোনও বিদ্রোহ করেননি। এনসিপি নেতা হিসেবেই তিনি বিজেপি-কে সমর্থন জানিয়েছিলেন। এদিন উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে আসিন হওয়ার মধ্য দিয়ে তাঁর প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হল বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে শুধু অজিত পওয়ারই নন, এদিন মহা বিকাশ আগাড়ির আরও বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নেতা মন্ত্রী পদে শপথ নিচ্ছেন। তারমধ্যে সবচেয়ে বড় নাম, শিবসেনা নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের পুত্র আদিত্য ঠাকরে। বাল ঠাকরেদের পরিবারে তিনিই প্রথম নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তিনি সম্ভবত পরিবেশ ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রক পেতে চলেছেন।
গত ২৮ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। ওই দিন তাঁর সঙ্গে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন কংগ্রেসের বালাসাহেব থোরাট ও নীতিন রাউত, শিবসেনার একনাথ শিন্ডে ও সুভাষ দেশাই এবং এনসিপির জয়ন্ত পাতিল ও ছগন এবং ভূজবল। এতদিন এই য় মন্ত্রী নিয়ে চলার পর এদিনই প্রথমবার মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ ঘটাচ্ছেন উদ্ধব। কংগ্রেস মন্ত্রী হিসেবে মোট ১০ জনের নাম ঠিক করেছে, যারমধ্যে দুইজন প্রতিমন্ত্রী হবেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন অশোক চভন, অমিত বিলাসরাও দেশমুখ এবং বর্ষ একনাথ গায়কওয়াড়-এর মতো প্রথমসারির নেতারা।
তিন দলের ক্ষমতা ভাগাভাগির সূত্র অনুসারে মুখ্যমন্ত্রী পদের সঙ্গে সঙ্গে শিবসেনার ১৬ জন মন্ত্রী হবেন। এছাড়া এনসিপি-র মোট ১৪ জন এবং কংগ্রেসের ১২ জন মন্ত্রিসভায় থাকবেন।