অজিত পাওয়ার, প্রফুল্ল প্যাটেল, হাসান মুশরিফ, ছগন ভুজবল চার নেতার বিরুদ্ধে রয়েছে আর্থিক তছরুপের একাধিক মামলা। যার তদন্ত করছে ইডি। সেই কারণে দল বদল বলে তোপ বিরোধীদের।
শরদ পাওয়ারের সাম্রাজ্যে ভাঙন ধরিয়ে মহারাষ্ট্রের জয়ের হাসি হাসছে দেবেন্দ্র ফড়নবীশ ও একনাথ শিন্ডে। অজিত পাওয়ার , প্রফুল্ল প্যাটেল-সহ ৯ বিধায়কের ডিগবাজিতে ক্রমশই অস্বস্তি বাড়ছে এনসিপি শিবিরে। তবে দল বদলু ৯ বিধায়কের মধ্যে চার জনের নামেই কিন্তু আর্থিক তছরুপের মামলা রয়েছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই আক্রমণে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি বিজেপি ওয়াশিং মেশিন পার্টি। যা পাপ ধুয়ে দলবদলুদের শুদ্ধ করতে পারে। মহারাষ্ট্রের শিবসেনা দলের সদস্য উদ্ধব ঠাকরে বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেছেন, অজিত পাওয়া-প্রফুল্ল প্যালেটের দল বদলে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আসুন এক নজরে দেখে অজিত পাওয়ার, প্রফুল্ল প্যাটেল-সহ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ রয়েছে-
অজিত পাওয়ার- দল বদলের পরই মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব তাঁর হাতে। রাতারাতি বিরোধী দলনেতা উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। তবে অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকাটা দীর্ঘ। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দায়ের করা আর্থিক তছরুপ মামলায় অজিত পাওয়ার ও তাঁর স্ত্রী সন্দেহভাজন। আগেই মহারাষ্ট্র সমবায় ব্যাঙ্কের মামলায় দম্পতি অভিযুক্ত। এটি চিনিকল মামলাতেও তাদের নাম জড়িয়ে ছিল। যদিও পরবর্তীকালে ইডির চার্জশিট থেকে তাদের নাম বাদ যায়।
ছগান ভুজবল - দুটি অর্থ পাচার মামলায় নাম রয়েছে ছগান ভুজবলের। একটি মামলা মুম্বইতে। জমির প্লট বরাদ্দ নিয়ে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ। অন্যটি নতুন মহারাষ্ট্র সদন নির্মাণে আর্থিক তছরুপের। ভুজবল বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছে। দুই মামলার বিচারই মুলতবি রয়েছে।
প্রফুল্ল প্যাটেল - দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ট সহযোগী হিসেবে একটা সময় পরিচিত ইকবাল মির্চির অর্থ পাচার মামলায় নাম জড়িয়ে রয়েছে প্রফুল্ল প্যাটেলের। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে ইডি। প্রফুল্ল প্যাটেলের কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। প্যাটেলের বিরুদ্ধে বিমান কেলেঙ্কারির মামলাও দায়ের করা হয়েছে। ইকবাল মির্চির সঙ্গে আর্থিক তছরূপের মামলায় ইডি একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
হাসান মুশরিফ - হাসান মুশরিফ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কোলহাপুর ও সারসেনাপতি সান্তাদি ঘোরপাড়ে চিনি কারখানা পরিচালনায় আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। বেআইনি ভাবে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এই বামলার তদন্ত করছে ইডি।
দলের চার নেতার বিরুদ্ধেই আর্থিক তছরুপের মামলা রয়েছে। আর সেই কারণেই অজিত পাওয়ারের ডিগবাজি খাওয়ার পরেই শরদ পাওয়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, 'আমি অত্যান্ত খুশি যে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি অভিযোগ থেকে কিছু এনসিপি কর্মীকে মুক্তি দিয়েছেন। কারণ তারা এখন রাজ্য সরকারের মন্ত্রী।' তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে ঘটনা ঘটেছে তাতে তিনি মোটেও বিচলিত নন। এর পূর্বাভাস তাঁর কাছে ছিল। তিনি আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মল্লিকার্জুন খাড়গে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন। তাদের সমর্থন রয়েছেন তাঁর ও তাঁর দলের ওপর। কেউ যগি এনসিপিরি ওপর মালিকানা জাহি করে তাতেও কোনও সমস্যা নেই বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেন দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি মহারাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছেন। এবার তিনি ভোট চাইতে ও দল গঠন করতে তাদের দ্বরস্থ হবে। মহারাষ্ট্রের জনগণ তাঁকে পূর্ণ সমর্থন জানাবেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।