Rakesh Tikait: ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে খালি হয়ে যাবে সব বিক্ষোভস্থল, ঘোষণা টিকাইতের

দেশের সব কটি বিক্ষোভস্থল থেকে বিক্ষোভকারীদের সরে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত। টিকাইত জানান, ১৫ই জানুয়ারী একটি পর্যালোচনা সভা করা হবে। 

বিক্ষোভ (Farmers Protest) তুলে নেওয়া হবে, একথা আগেই জানানো হয়েছিল কৃষকদের (Farmers) তরফে। এবার দেশের সব কটি বিক্ষোভস্থল (Protest Site) থেকে বিক্ষোভকারীদের সরে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত(Rakesh Tikait)। টিকাইত জানান, ১৫ই জানুয়ারী একটি পর্যালোচনা সভা (review meeting) করা হবে। হরিয়ানা, চন্ডীগড় ও অমৃতসর থেকেও তিনদিনের আলোচনা সেরে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হবে। সম্মিলিত কিষাণ মোর্চার বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

এদিকে, দীর্ঘ ১৫ মাস অবরুদ্ধ থাকার পর অবশেষে খালি হতে শুরু করেছে দিল্লির সিংঘু, টিকরি আর গাজিপুর সীমানা। তিনিটি কৃষি আইন (Farm Law) বাতিল, নূন্যতম সহায়ক মূল্যের দাবিতে গত ১৫ মাস ধরে অবস্থান বিক্ষোভ (Farmer Protest) করেছিলেন হরিয়ানা, পঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ ও রাস্থানের কৃষকরা। সহানুভূতি আদায় করে নিয়েছিলেন দেশের আরও বাকি বেশ কয়েকটি রাজ্যের কৃষকদের।

Latest Videos

এদিকে, পুলিশের অভিযানে (police action) কোনও কৃষকের বিক্ষোভ চলাকালীন মৃত্যু হয়নি (No farmer died)। এরই মাঝে এমন দাবি করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার (Centre)। কেন্দ্রের দাবি গত এক বছর ধরে যে বিক্ষোভ কৃষকরা চালিয়ে গিয়েছেন, সেখানে পুলিশ আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কড়া হয়েছে, কিন্তু পুলিশি অভিযানে কোনও কৃষকের মৃত্যুর কোনও খবর নেই। বিভিন্ন কৃষক গোষ্ঠী তিনটি নতুন কৃষি বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামে। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন চলে। 

কেন্দ্রীয় সরকার বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা প্রত্যাহার এবং ন্যূনতম সমর্থন মূল্য (এমএসপি) সহ তাদের মূল দাবিগুলি মেনে নেওয়ার পরে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে রাজ্যসভায় লিখিত জবাবে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, "কৃষক আন্দোলনে মৃত কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ইত্যাদির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের বিবেচনাধীন"। এদিন কৃষিমন্ত্রী আরও জানান, কৃষকদের আন্দোলনের সময় পুলিশি অ্যাকশনের ফলে কোনও কৃষক মারা যায়নি। তোমর কংগ্রেস নেতা ধীরাজ প্রসাদ সাহু এবং এএপি নেতা সঞ্জয় সিংয়ের যৌথ প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় এই তথ্য জানান। 

এদিকে, দিন কয়েক আগে থেকেই ভিড় কমছিল দিল্লির সীমানা এলাকা। আগেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু কৃষক সংযুক্ত মোর্চার ঘোষণা অনুযায়ী এদিনই কার্যকরীভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে কৃষক আন্দোলন। তবে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আগামী দিনেও তাঁরা বৈঠক করবেন বলেও জানিয়েছেন। যাই হোক দিল্লি সীমানা এলাকায় কৃষকরাই ভেঙে ফেলেছেন তাঁদের অস্থায়ী আবাসগুলি। তুলে নেওয়া হয়েছে সমস্ত লঙ্গরখানা। দীর্ঘ যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে  ট্র্যাক্টর , অথবা গাড়ি করে তাঁরা ফিরে যাচ্ছেন বাড়িতে।

Share this article
click me!

Latest Videos

Hooghly-তে ফের কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ED-র বড়সড় অভিযান! এলাকায় উত্তেজনা তুঙ্গে | Hooghly News Today
‘Bangladesh Pakistan-এর মতো অন্ধকারে নেমে যাবে’ ঝাঁঝালো মন্তব্য BJP নেতা Samir Mondal-এর
সনাতনীদের বিশাল মিছিল! Bangladesh-এ চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবীতে Kolkata উত্তাল |Chinmoy Krishna Das
এটিএম লুঠের ছক ভেস্তে দিলো পুলিশ! ভীন রাজ্যের যোগ, চাঞ্চল্য New Barrackpore-এ | North 24 Parganas
প্রস্তুত ভারতের হিন্দুরা! সোমবার বর্ডারে যা হবে, বলে দিলেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | Bangla News