জম্মু ও কাশ্মীরেও বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যা
ধর্মীয় স্থানগুলি ফের বন্ধ করে দিতে হচ্ছে
তারমধ্যেই চলছে অমরনাথ যাত্রার প্রস্তুতি
কবে, কীভাবে এই পবিত্র তীর্থে যেতে পারবেন ভক্তরা
দেশের বাকি অংশের মতো জম্মু ও কাশ্মীরেও লাগাতার বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যা। তার জেরে আনলক ১-এ দীর্ঘদিন পর ধর্মীয় স্থানগুলি খোলার পরও ফের বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। তারমধ্যেই সরকার অমরনাথ যাত্রার কথা ঘোষণা করল। তবে এবারের অমরনাথ যাত্রা হবে একেবারেই ছোট আকারে, জৌলুশহীন। ১৫ দিনের জন্য যাত্রার অনুমতি দেওয়া হবে মাত্র জানালো ৫০০ জন যাত্রীকে। কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, তীর্থযাত্রায় বের হওয়ার আগে প্রত্যেক ইচ্ছুক যাত্রীকে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে হবে।
রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর জি সি মুর্মু প্রথম পূজা করে এই বথরের অমরনাথ যাত্রার সূচনা করেন। পদাধিকার বলে লেফটেন্যান্ট গভর্নর অমরনাথ শ্রাইন বোর্ডের (এসএএসবি) চেয়ারম্যানও বটে। রবিবার সকালে তিনি অনন্তনাগে গিয়ে প্রথম পূজা করেন। সেই পূজা সরাসরি সম্প্রচার করা হয় প্রসার ভারতীতে। জানা গিয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এবার প্রতিদিনই সারা ভারতে প্রসার ভারতী এই পুজো সরাসরি সম্প্রচার করবে।
এই বছর ২৩ জুন থেকে এই বার্ষিক তীর্থযাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিল। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন এই যাত্রার দিন সংখ্যা কমিয়ে ১৫ দিন করা হতে পারে। তীর্থযাত্রা শুরুর বিষয়ে এখনও কিছু বলছেন না সরকারি কর্তারা। তবে সূত্রের খবর, এবারের যাত্রা শুরু হতে পারে ২১ জুলাই থেকে, আর চলবে ৩ অগাস্ট রাখির দিন পর্যন্ত। ওই সূত্রেরই দাবি এবার বরাবরের মতো দক্ষিণ কাশ্মীরের দক্ষিণ অনন্তনাাগ জেলার পহেলগাঁও-এর পথ দিয়ে অমরনাথ যাত্রার অনুমতি দেওয়া হবে না। মধ্য কাশ্মীরের গান্দেরবাল জেলার বালতাল-এর পথ দিয়ে গেলে অমরনাথ মাত্র ১৪ কিলোমিটার পড়ে। সম্ভবত সেই ছোট পথেই তীর্থ যাত্রার অনুমতি দেবে সরকার।
তবে যাত্রা শুরুর আগে প্রত্যেক ইচ্ছুক তীর্থযাত্রীকে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করাতে হবে। আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে সরকারের পক্ষ থেকেই করোনা পরীক্ষা করা হবে যাত্রীদের। যদি পরীক্ষার ফল নেতিবাচক আসে, তবেই কেউ যাত্রা করার অনুমতি পাবেন।