লাদাখে চিন ও পাকিস্তানের ওপর একসঙ্গে নজরদারি চালাতে আরও একটি রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি নজর রাখা হচ্ছে সেই নতুন রাস্তাটির মাধ্যমে সড়ক যোগাযোগ যেন আরও সুগম হয়। পাশাপাশি সময় বাঁচাতে সক্ষম হয়। কারণ যুদ্ধের সময় খুব তাড়াতাড়ি প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও সেনা পাঠাতে হবে। আর নতুন রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে সেটি হচ্ছে মূল অ্যাজেন্ডা। সেই কারণেই মানালি থেকে লে পর্যন্ত নতুন একটি রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যা গোটা দেশের সঙ্গে উচ্চতর পার্বত্য কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের সঙ্গে তৃতীয় সড়ক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে চিহ্নিত হবে।
ভারত গত তিন বছর ধরে কৌশলগত দিক দিয়ে উত্তরের গুরুত্বপূর্ণ সাবসেক্টরসহ দৌতল বেগ ওল্ডি ও সেখানকার কিছু বিকল্প বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য রাস্তা তৈরি করেছে। পাশাপাশি উচ্চতর উচ্চতায় মোটোরেবল রোড খারদুং লা পাসের কাজও শুরু করেছে।
ইতিমধ্যেই এজেন্সিগুলি পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে। নিমু-পদ্ধ-দর্চা হয়ে মালানি থেকে লে যাওরা রাস্তা তৈরি করার বিষয়ে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে শ্রীনগর থেকে জোজিলা পাস এবং সানচু হয়ে মানালি যাওয়ার থেকে নতুন রাস্তা দিয়ে গেলে তুলনামূলকভাবে অনেকটা কম সময় লাগবে বলেই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সরকারি সূত্রের খবর নতুন রাস্তাটিতে গেলে আগের তুলনা প্রায় তিন থেকে চার ঘণ্টা কম সময় লাগবে। পাশাপাশি চিনের সঙ্গে প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের দিকেও নজর রাখাছে ভারত। সেই কারণে মনে করা হচ্ছে ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সময় দ্রাস থেকে কার্গিল যাওয়ার রাস্তাটি দখল করতে মরিয়া প্রয়াস চালিয়েছিল পাক সেনা। সেই কথা মাথায় রেখেই নতুন রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন রাস্তাটি তৈরি হলে অল্প সময়ের মধ্যেই সমর সরঞ্জাম ও যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও সেনা বহিনী তাড়াতাড়ি মোতায়েন করা যাবে।
একটি সূত্র জানাচ্ছে নতুন রাস্তা নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। নতুন রাস্তাটি মানালিকে নিমুর কাছে লে-র সঙ্গে যুক্ত করবে। সম্প্রতী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই এলাকাটি পরিদর্শও করেছেন। একই সঙ্গে দৌলত বেগ ওল্ডির রাস্তাও মেরামত করার কাজ শুরু হয়েছে।
একটি সূত্র বলছে নতুন রাস্তাটি লেহ তেকে খারদুং লা পাস হয়ে সামাসা সাসের লা শায়োক ও দৌলত বেগ ওল্ডি এলাকায় হিমবাহের মধ্যে দিয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য ১৪ নম্বর কর্পসকে দায়িত্বা দেওয়া হয়েছে।