পূর্ব লাদাখ সীমান্তের বিস্তীর্ণ এলাকায় মোতায়েন রয়েছে ইন্দো তিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ। এই এলাকায় মূলত সীমান্ত রক্ষায় দায়িত্ব আইটিবিপি জওয়ানদের। গত শনিবার থেকে নতুন করে পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেক সংলগ্ন এলাকায় নতুন করে সীমান্ত উত্তাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অবস্থায় টানা ৬ দিনের আইটিবিপি প্রধান এসএস দেশওয়াল সীমান্ত এলাকায় উপস্থিত থেকে বাড়িয়ে দিলেন তাঁর অধীনস্ত জওয়ানদের মনোবল। একই সঙ্গে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে তিনি কথা বলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা প্রধানদের সঙ্গে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বেশ কিছু এলাকায় টহল দিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্যও সংগ্রহ করেছেন তিনি।
আইটিবিপি প্রধান দেশওয়াল বলেছেন, লাদাখ সীমান্তে প্রায় পাঁচ হাজার জওয়ান মোতায়েন রয়েছে। গত ছদিনে তিনি উত্তর থেকে পূর্ব লাদাখ সেক্টর ঘুরেছেন। সীমান্তের প্রায় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলিতে ভারতীয় সেনার অবস্থান লক্ষ্য করেছেন। আর তাঁর সফরের সময় আইটিবিপি জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেছেন। একটি সূত্র জানাচ্ছে তিনি কথা বলেছিলেন সেইসব জওয়ানদের সঙ্গে যাঁরা গত শনিবার চিনা সেনার আগ্রাসন প্রতিহত করেছিল। দেশওয়াল তাঁর উর্ধ্বতন আধিকারিক ও অরাপেশন আধিকারিকদের সঙ্গে সমগ্র পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। সেনা সূত্রের খবর, চিনা সেনার আগ্রাসন প্রতিহত করার প্রস্তুতিতে কোনও রকম ফাঁক রাখতে চাইছে না ভারত। তাই সবরক পরিস্থিতি নিয়ে দফায় দফায় কাটাছেঁড়া চলছে ভারতীয় সেনার অন্দরমহলে।
চিনা সেনার অসন্তোষের মূল কারণ দৌলত বেগ ওল্ডি থেকে দক্ষিণের বিস্তীর্ণ এলাকাও চিনা সেনার নাকের ডগা দিয়ে পরিদর্শন করেন আইটিবিপি প্রধান। আর ওই এলাকায় ভারতীয় সেনা বাহিনী বেশ কয়েকটি পাহাড়ের ওপর অবস্থান করছে। আইটিবিপি প্রধান সেই দুর্গম স্থানগুলিও পরিদর্শন করেন। তলাদাখে সেনাবাহিনীর সিনিয়র কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেন দেশওয়াল। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলটির সুরক্ষার দায়িত্ব যে দুই বাহিনীর ওপর রয়েছে তারা একে অপরকে পূর্ণ সহযোগিতা করবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে ইন্দো টিবেটিয়ার বর্ডার পুলিশের সদস্যদের যে কোনও সময় যোকোনও ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
গত মে মাস থেকেই ক্রমেই চিনা সীমান্ত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। চিনা সেনার আগ্রাসন প্রতিহত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে আইটিবিপির জওয়ানরা। পূর্ব লাদাখ সেক্টরে প্যাংগং লেক রক্ষার দায়িত্বও রয়েছে এই জওয়ানদের ওপর। একই সঙ্গে এই পার্বত্য বাহিনী লাদাখের কারাকোরাম পাশ থেকে অরুণাচল প্রদেশের জাচাপ লা পর্যন্ত ভারত-চিন সীমান্তের ৩৪৮৮ কিলোমিটার সীমান্ত রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করছে।