ঋণে জর্জরিত হয়ে রয়েছেন অনিল অম্বানী। রিলায়েন্স গ্রুপের অবস্থা এতটাই খারাপ যে এরিকসন সংস্থার ৫৫০ কোটি টাকা মেটাতে পারেননি অনিল অম্বানী। শেষে তার মধ্যে ৪৫০ কোটি টাকা শোধ করেছেন মুকেশ আম্বানি। ঋণের এই ডুবন্ত অবস্থা থেকে বাঁচার জন্য মুম্বাই এর হেডকোয়াটার্স বিক্রি অথবা লিজে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন অনিল অম্বানী।
অনিল অম্বানীর বর্তমান সদর কার্যালয় মুম্বইয়ের সান্তাক্রুজ ওয়েস্ট এক্সপ্রেস হাইওয়ের ধারে অবস্থিত। এই অফিসের মাপ সাত লক্ষ বর্গ ফুট। মুম্বইয়ের এই কার্যালয়কেই বিক্রি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন অনিল। এই নিয়ে মার্কিন সংস্থা ব্ল্যাক স্টোন এর সঙ্গে কথাবার্তাও চলছে তাঁর। কিন্তু এই অফিসের মধ্যেও বেশ কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। অফিসটি লিজে দেওয়া বা বিক্রির জন্য পরামর্শদাতা হিসেবে অনিল জেএলএল-এর সাহায্য নিচ্ছেন অনিল।
অফিসটি বিক্রি করতে পারলে অনিল ২ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি পেতে পারেন বলে জানা গিয়েছে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে। সেই টাকা দিয়েই অনিল নিজের ঋণের বোঝা নামাতে পারবেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত ২০০৫ সালে মুকেশ অম্বানী ও অনিল অম্বানীর ব্যবসা ভিন্ন পথে চলতে শুরু করে। কিন্তু তারপরেও ২০০৮ সালে অনিলের অবস্থা যথেষ্ট ভালো ছিল।২০০৮ সালে বিশ্বের ষষ্ঠ ধনী ব্যক্তি ছিলেন অনিল । সে সময়ে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ২ লক্ষ ৯৩ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু আস্তে আস্তে ক্ষতির সম্মুখীন হতে থাকেন অনিল।
এখন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬৫০ কোটি টাকায়। এই মুহূর্তে রিলায়েন্স এর অধিকাংশ সংস্থা ঋণের বোঝায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেই ঋণ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে এবার মুম্বইয়ের সাত লক্ষ বর্গফুটের অফিস বিক্রি করে দিচ্ছেন অনিল আম্বানি।