দিল্লিতে গ্রেফতার কাশ্মীরি দম্পতি
দুজনের সঙ্গেই আইএসআইএস-এর য়োগ রয়েছে বলে দাবি পুলিশের
তারা নিয়মিত সিএএ বিরোধী আন্দোলনেও অংশ নিত
এরপরই সিএএ বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে আইএস যোগের প্রশ্ন উঠছে
গত বছর ডিসেম্বরে সিএএ আইন পাস হয়েছিল সংসদে। আর তারপর থেকে এই আইন-কে সংবিধান বিরোধী বলে এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। কিন্তু, এই প্রতিবাদ আন্দোলন-এর সঙ্গে কি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএসআইএস-এর যোগ রয়েছে? রবিবার দিল্লি পুলিশ-এর সর্বশেষ পদক্ষেপে এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করল। এদিন দিল্লি থেকে এক দম্পতিকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। দুজনের সঙ্গেই আইএসআইএস-এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই দম্পতি কিন্তু সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভেও অংশ নিচ্ছিল।
দিল্লি পুলিশের তরফে, ডেপুটি কমিশনার প্রমোদ সিং কুশওয়া বলেছেন, ওখলা-র জামিয়ানগর থেকে রবিবার এক দম্পতিকে ধরা হয়েছে। তাদের নাম জাহানজেব সামি এবং হিনা বশির বেগ। কুশওয়ার দাবি, এই দুজনের সঙ্গেই আইএসআইএস-এর খোরাসান মডিউল-এর যোগাযোগ ছিল। দিল্লির বুকে এতদিন এই দম্পতি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-ও চালিয়ে যাচ্ছিল।
জানা গিয়েছে তারা জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরের বাসিন্দা। বেশ কয়েকদিন ধরেই তাদের উপর নজর রেখেছিল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। গত বছর অগাস্টে শ্রীনগর থেকে তারা দিল্লি চলে আসে। সিএএ প্রতিবাদ চলাকালীন সিএএ বিরোধী ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে, তারা মুসলিম যুবকদের সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করছিল। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে, ওই দম্পতি 'ইন্ডিয়ান মুসলিম ইউনাইটেড' নামে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পেজ-ও চালাচ্ছিল। যে পেজ-এর উদ্দেশ্য ছিল সিএএ এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী মুসলিমদের একত্রিত করা। এর পাশাপাশি 'সাওয়াত আল হিন্দ' বা 'ভারতের কন্ঠস্বর' নামে আইএস-এর পত্রিকার ফেব্রুয়ারি সংস্করণ প্রকাশ ও প্রচারও করেছিল জাহানজেব।
এর আগে দিল্লি পুলিশের বিশেষ শাখা ৯ জানুয়ারি একটি দিল্লি থেকে একটি জঙ্গি দলের জারিজুরি ফাঁস করে দিয়েছিল। সংক্ষিপ্ত গুলি বিনিময়ের পর উত্তর-পূর্ব দিল্লির ওয়াজিরাবাদ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তিন আইএস সন্দেহভাজন-কে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছিল তারা ২০১৪ সালে তামিলনাড়ুতে এক হিন্দু নেতার হত্যাকাণ্ডেও জড়িত ছিল।