পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ড কী অবস্থা? ASI-র ৪৫ পাতার রিপোর্ট হাতে পেল কর্তৃপক্ষ

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার নিয়ে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া একটি রিপোর্ট দিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ বা শ্রী জগন্নাথ মন্দির পরিচালন কমিটিকে। সেই রিপোর্টে রত্ন ভাণ্ডারের বর্তমান অবস্থার উল্লেখ রয়েছে।

ASI-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে মন্দিরের রত্নভাণ্ডারের জরিপ করা হয়েছে। বর্তমানে রত্নভাণ্ডারের কী অবস্থা রয়েছে তার কথা উল্লেখ রয়েছে।

ASIর রিপোর্ট নিয়ে মন্দির কমিটিও নিজের বক্তব্য জানিয়েছে। তাদের কথায় তাঁরা দ্রুত রত্নভাণ্ডার মেরিমতির আবেদন করেছে ASIএর কাছে। তাদের দাবি দ্রুত রত্নভাণ্ডারের মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করুক ASI।

মন্দির পরিচালন কমিটির পক্ষ থেকে অরবিন্দ পাধী জনিয়েছেন, ASI একটি ৪৫ পাতার রিপোর্ট দিয়েছে রত্নভাণ্ডারের অবস্থা নিয়ে। রত্নভাণ্ডার সংরক্ষণে ASIকে তারা সবরকম সহযোগিতা করবেন বলেও জানিয়েছেন।

পাধী বলেছেন, 'এএসআই রত্নভান্ডারে যে জিপিআর-জিপিএস সমীক্ষা চালিয়েছিল, তার রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। মন্দিরের নিরাপত্তা এবং স্থায়িত্বের বিষয়টি এসজেটিএ সব সময় গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে।'

পাধী আরও বলেছেন, এএসআই আর রিপোর্ট অনুযায়ী রত্নভাণ্ডারের দেওয়াল আর মেঝেতে কিছু সমস্যা রয়েছে। এএসআই-এর রিপোর্ট মন্দির কর্তৃপক্ষের একটি দলও খতিয়ে দেখবে বলে তিনি জনিয়েছেন।

প্রায় ৪৬ বছর পরে চলতি বছর জুলাই মাসে খোলা হয়েছিল পুরীর রহস্যমত রত্নভাণ্ডার।

রত্নভাণ্ডার থেকে কী কী পাওয়া গেছে তা জানানি মন্দির কমিটি। তবে সেই সময় প্রকাশ পাওয়া ছবিতে দেখা গিয়েছিল বড় বড় কাঠের বাক্স রত্নভাণ্ডার থেকে বার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

পুরীর রত্নভাণ্ডারের দুটি প্রকষ্ঠ রয়েছে। একটি বহিঃপ্রকোষ্ট অন্যটি অন্তঃপ্রকোষ্ঠ।

মেরামতির জন্য মন্দিরের রত্নভাণ্ডারের অন্তঃপ্রকোষ্ঠটি খোলা হয়েছিল। দীর্ঘ দিন এটি মেরামতি হয় না। জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রার গয়না ও উপহার পাওয়া সামগ্রী থাকে এখানে।