আসামের হোজাই, বাকসা, নলবাড়ি, বারপেটা, দারাং, তামুলপুর এবং কামরুপ গ্রামীণ জেলায় উদ্ধার ও ত্রাণ বন্টন শুরু করেছে সেনা বাহিনীর সদস্যরা।
প্রবল বৃষ্টিতে বানভাসী অসমের বিস্তীর্ণ এলাকা। রাজ্যের নিচু এলাকাগুলি জলমগ্ন। কয়েকটি নদী এখনও পর্যন্ত বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এই অবস্থায় বন্যাদুর্গতের সংখ্যাও বেড়েছ। বন্যায় আটকে পড়াদের উদ্ধারে নেমেছে ভারতীয় সেনা। মানবিক স্পর্শ, যত্ন ও সমবেদনা, ভারতীয় সেনাবাহিনী আসামের বিভিন্ন অংশে বন্যার কারণে আটকা পড়া হাজার হাজার মানুষকে উদ্ধার করেছে।
আসামের হোজাই, বাকসা, নলবাড়ি, বারপেটা, দারাং, তামুলপুর এবং কামরুপ গ্রামীণ জেলায় উদ্ধার ও ত্রাণ বন্টন শুরু করেছে সেনা বাহিনীর সদস্যরা। ১১টি দলে ভাগ হয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই চরম পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়ে প্রায় ৩ হাজার মানুষকে উদ্ধার করেছে।
হোজাইতে প্রবল জলের তোড়ে বানভাসী একের পর এক বসতি এলাকা। সেনা বাহিনীর কথায় বিস্তীর্ণ এলাকায় রয়েছে জলের তলায়। রাধা নগর, কমরকাটা, ডোবোকা এবং হোজাই সার্কেলের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চল। কঠিন পরিস্থিতিতে সেখানে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সেনা বাহিনীর সদস্যরা। মহিলা, শিশু ও বয়স্কদের উদ্ধার করা হয়েছে। একটি এলাকায় প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে আটকে ছিল অনেকে। সেখানে এক মাসের শিশু ও এক অসুস্থ মহিলাকেও উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কামরুপ জেলার গ্রামীণ এলাকার পরিস্থিতি এখনও স্বভাবিক হয়নি। সেখানে আটকে পড়েছিল প্রায় ১৩৬ জন। তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। আগে থেকেই সেখানে মোতায়েনন করা হয়েছিল সেনা। অন্যদিকে দক্ষিণ গান্ধীবাড়িতে আটকে পড়াদেরও সাফল্যের সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি হ্রাস না হওয়া এবং পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত ভারতীয় সেনাবাহিনী অসমের বন্যাদুর্গতদের পাশে থাকবে। তাদের উদ্ধার ও ত্রাণ বিনিময় করবে বলেও সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অসমের বন্যায় এখনও পর্যন্ত ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধুমাত্র গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু গয়েছে ৯ জনের। বন্যা পরিস্থিতির কারণে রাজ্যের ২৮টি জেলার ১৮ লক্ষের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অসমের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি কথা বলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে।