বুধবার (১৬ অক্টোবর), অযোধ্যা মামলার শুনানির শেষ দিন। আর শেষ দিনেই এই মামলায় দেখা গেল নয়া মোড়। অযোধ্যার জমির দাবি থেকে সরে আসতে চাইল সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ড। এদিন শুনানি শুরু হতেই মধ্যস্থতা প্যানেল সাংবিধানিক বোঞ্চকে এই কথা জানায়। মনে করা হচ্ছে সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ডের সদস্যদের নিজডেদের মধ্যে বিরোধের কারণেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সম্প্রতি বোর্ডের চেয়ারম্য়ান জেএ ফারুকির বিরুদ্ধে বেইনিভাবে বোর্ডের জমি কেনাবেচার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সিবিআই-এর পক্ষ থেকে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের পরামর্শ দিয়েছে। এরপর গত সোমবারই ফারুকি মধ্যস্থতা প্যানেলের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের কাছে তাঁর প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে বলে নিরাপত্তার আবেদন জানান। সূত্রের খবর এফআইআর দায়ের হওয়ার তাঁর আইনি দলকে না জানিয়েই তিনি মদ্যস্থতা প্যানেলের কাছে অযোধ্যা মামলার তাঁর জবানবন্দি বদলে ফেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। সেই সঙ্গে নতুন করে জবানবন্দি দেওয়ার কথাও বলেন।
এরপরই এদিন অযোধ্যার জমি বিতর্ক মামলা থেকে নিজেদের দাবি প্রত্যাহারের আবেদন করল সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ড। তবে ১৯৯১ সালের প্লেসেস ওরশিপ অ্যাক্ট-কে যাতে কঠোরভাবে বলবৎ করার আবেদন জানিয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের দাবি অযোধ্যায় বাবরি সমজিদ ভাঙার পর দাঙ্গায় আশপাশের যে ২২টি মসদজিদে হামলা হয়েছিল, সেগুলি অদিগ্রহণ করে দেখভালের দায়িত্ব লিক সরকার। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের আওতায় থাকা অন্যান্য ধর্মস্থলগুলি কি অবস্থায় আছে তা খতিয়ে দেখার জন্য সুপ্রিম কোর্টকে একটি কমিটি গঠন করার আবেদনও করা হয়েছে।