অযোধ্যা দীপোৎসবে ২৮ লক্ষ প্রদীপ জ্বলে উঠল। ১,১০০ জনেরও বেশি মানুষ সরযূ আরতি সম্পন্ন করলেন। গিনেস বিশ্ব রেকর্ডের আশা। পাঁচ দিন ধরে চলবে এই জমকালো উৎসব।
উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার রাম মন্দিরে বুধবার দীপোৎসব পালিত হল। প্রায় ২৮ লক্ষ প্রদীপ জ্বালানো হয়েছে। গিনেস বিশ্ব রেকর্ড তৈরির আশা করা হচ্ছে। এর সাথে সাথে ১,১০০ জনেরও বেশি মানুষ সরযূ ঘাটে একসাথে আরতি সম্পন্ন করলেন। এটিও নিজের মধ্যেই একটি রেকর্ড।
১০ টি পয়েন্টে জেনে নিন দীপোৎসবের বিশেষত্ব
১- দীপোৎসব ২০২৪ পাঁচ দিনব্যাপী উৎসব। এটি ভগবান রামের অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তনের উদযাপন হিসেবে পালিত হচ্ছে। দীপোৎসবে যোগ দিতে লক্ষ লক্ষ ভক্ত অযোধ্যায় এসেছেন।
২- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার ঘোষণা করেন যে, এ বছরের দিওয়ালি ঐতিহাসিক হবে। হাজার হাজার প্রদীপ রামললার জন্মভূমিতে নির্মিত মন্দির আলোকিত করবে। এটি ৫০০ বছরের অপেক্ষার পর উৎসবের প্রতীক।
৩- সরযূ নদীর ৫৫ টি ঘাটে ২৮ লক্ষ প্রদীপ জ্বালানো হয়েছে। এর জন্য ৩০,০০০ এরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত ছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে নতুন ঘাট, পুরানো ঘাট এবং ভজন সন্ধ্যা এর মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থান। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
৪- গিনেস বিশ্ব রেকর্ডসের একটি দল দীপোৎসব পর্যবেক্ষণ করছে। অনুষ্ঠান চলাকালীন দুটি রেকর্ড তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। ১,১০০ জন মানুষ সরযূ তীরে আরতি করেছেন। ২৮ লক্ষ প্রদীপ জ্বালানো হয়েছে। এটি রাম মন্দির নির্মাণের পর প্রথম দীপোৎসব। গিনেস বিশ্ব রেকর্ডসের পরামর্শদাতা নিশ্চল বারোটের নেতৃত্বে ৩০ সদস্যের একটি দল ড্রোনের সাহায্যে সরযূর ৫৫ টি ঘাটে প্রদীপ গণনা করেছে।
৫- দীপোৎসব উপলক্ষে ৬ টি দেশ এবং ভারতের ১৬ টি রাজ্য থেকে ১৮ টি ঝাঁকি প্রদর্শন করা হয়েছে। শিল্পীদের সাথে একটি বিশাল শোভাযাত্রা বের করা হয়েছে।
৬- দিব্য অযোধ্যা অ্যাপের মাধ্যমে ভার্চুয়াল প্রদীপ জ্বালানোর আবেদন জানানো হয়েছে। এই উদ্যোগের নাম 'এক দিয়া রাম কে নাম'। আশা করা হচ্ছে এটি অযোধ্যার পর্যটনকে উৎসাহিত করবে।
৭- ১০,০০০ জন নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। রামের পৈড়ির দিকে যাওয়ার ১৭ টি প্রধান রাস্তায় শুধুমাত্র পাসধারীরা যেতে পারবেন। অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখার জন্য এলইডি স্ক্রিন ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৮- দীপোৎসব চলাকালীন বিশেষভাবে এমন প্রদীপ জ্বালানো হবে যাতে কম কালি নির্গত হয়। পশুপালন বিভাগ এই উপলক্ষে ১,৫০,০০০ “গো-প্রদীপ” জ্বালানোর প্রতিজ্ঞা করেছে।
৯- কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ATS, STF এবং CRPF এর কমান্ডো মোতায়েন করা হয়েছে। দূষণ এড়াতে প্রধান মন্দির ভবনের বাইরে মোমবাতি জ্বালানো হবে। এতে মন্দিরের কাঠামোর কোন ক্ষতি হবে না।
১০- সমগ্র অযোধ্যা সাজানো হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক আশু শুক্লাকে সাজসজ্জার কাজের তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।