নৃপেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছে তাঁদের মতে বিগ্রহ উদ্বোধনের পর প্রথম দিকে এক লক্ষ ২৫ হাজার ভক্ত আসবেন। রাম নবমীর দিন, যদি ১৭ লক্ষ ভক্ত আসেন, তবে সেই মতই ব্যবস্থা করা হবে।
এই মন্দিরে ৯৮ শতাংশ ভক্ত বা দর্শনার্থী আসবেন, যাঁরা শুধু ভ্রমণ করতে বা পুজো দিতে আসবেন। কিন্তু এক বা দুজন শিল্প পর্যবেক্ষক এর মধ্যে থাকবেন, যাঁরা গোটা মন্দিরের শৈল্পিক বিন্যাসের সূক্ষ্মতা পর্যালোচনা করবেন। রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র এশিয়ানেট নিউজ নেটওয়ার্কের রাজেশ কালরাকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বলেছেন রুক্ষ ভূমির ওপর এই মন্দির নির্মাণ ঠিক কতটা চ্যালেঞ্চের ছিল। তিনি বলেছিলেন সেই এলাকাতেই মূল মন্ডপ তৈরি হবে,যেখানে ভূমি পূজন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২৪ সালের ১৪ই জানুয়ারি মূর্তি স্থাপন হবে। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রিত থাকবেন।
রাম-দর্শন
২০২৪-এর ১৪ই জানুয়ারির পর থেকে বিগ্রহ দেখার সুযোগ পাবেন ভক্তরা জানিয়েছেন নৃপেন্দ্র মিশ্র। তাহলে মন্দিরের বাকি অংশের কাজ কীভাবে চলবে এই প্রশ্নই করেছিলেন এশিয়ানেট নিউজের রাজেশ কারলা। তার উত্তরে নৃপেন্দ্র মিশ্র বলেন, বাকি অংশ মুড়ে ফেলে ব্যারিকেড করা হবে। কাজ নিজের গতিতেই চলবে। তবে ততদিনে ছাদের কাজ পুরোপুরি হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে মন্দিরের চূড়া তখনও শেষ হবে না। কারণ ওটা দ্বিতীয় তলের ওপরের ভাগ। সেটার কাজ শেষ হতে আরও সময় লাগবে।
ভক্ত সমাগম
নৃপেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছে তাঁদের মতে বিগ্রহ উদ্বোধনের পর প্রথম দিকে এক লক্ষ ২৫ হাজার ভক্ত আসবেন। রাম নবমীর দিন, যদি ১৭ লক্ষ ভক্ত আসেন, তবে সেই মতই ব্যবস্থা করা হবে। রাম নবমীতে সূর্যের আলো ঠিক বেলা বারোটায় মন্দিরের শিখরের ওপর পড়বে। এরপর তা মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করবে ভগবান রামের কপাল স্পর্শ করবে। সেভাবে এই মন্দিরের নির্মাণ করা হচ্ছে।
ভক্ত সমাগমে যাতে সমস্যা না হয় তার জন্য প্রস্তুত অযোধ্যা প্রশাসন। নৃপেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে বেশ সহযোগিতা করছেন অযোধ্যা প্রশান। এই শহরের পুলিশ সুপার একটি প্রেজেন্টশন তৈরি করেছেন যে কীভাবে এই ভিড় সামলানো যায়। ধর্মশালায় কত জায়গা রয়েছে, শৌচালয়ের ব্যবস্থা, কোন কোন ট্রেন আসবে অযোধ্যা, বিমানের সুবিধা কীভাবে পাওয়া যাবে, পুরোটাই পরিকল্পনা করা হয়েছে। রাজ্য সরকার এই ব্যবস্থা সবটাই করেছে।
অযোধ্যা স্মার্ট সিটি প্রজেক্ট
স্মার্ট সিটি প্রজেক্টের কাজ নজরদারি করছে খোদ কেন্দ্র সরকার। মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। দু থেকে তিন বছর লাগবে এই প্রকল্প সম্পূর্ণ হতে। একের পর এক আন্তর্জাতিক মানের অতিথি শালা তৈরি হচ্ছে এখানে। আযোধ্যায় বিমান পরিষেবা শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন নৃপেন্দ্র মিশ্র।