
রাত পোহালেই বকরি ঈদ বা ঈদ-আল আজাহা। তার আগেই মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে কোরবানির একটি ছাগল বিক্রি হয়েছে প্রায় সাত লক্ষ টাকায়। ছাগল বিক্রেতা জানিয়েছেন বকরি ঈদ উপলক্ষ্যে তিনি বেশ কিছু ছাগল বিক্রি করেছেন, ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৭ লক্ষ টাকা দাম নির্ধারণ করেছেন।
ছাগল বিক্রেতা সৈয়দ শাহাব আলি বলেন, তিনি মুম্বই, পুনে , নাগপুর আর গুজরাটে ছাগল বিক্রি করেছেন। ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাম পেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, তিনি শান-ই ভোপাল ৪ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছেন। আর একটি ছাগল রাফতার বিক্রি করেছেন ৭ লক্ষ টাকায়। রাফতারের ওজন ১৫৫ কেটি। তিনি আরও বলেছেন, এটি দেশের আক্রমণাত্মক ছাগলগুলির একটি।
আগামিকাল , সোমবার বকরি ঈদ, গোটা দেশ জুড়েই চলছে প্রস্তুতি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত জমজামাট পশু হাটগুলি। ছাগল, উট, গরু কেনাবেচা চলছে। দিল্লির জামা সমজিদের বাখরা মেলা জমজমাট। সেখানে ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ লক্ষ টাকার পশু কেনাবেচা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখযোগ্য হল ঈদ আল আজহা বা বকরিঈদ বল একটি পবিত্র উৎসব। এটি ত্য়াগের উৎসব হিসেবেও মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে পরিচিত। ধু আল-ইজ্জাহ বা ইসলামি বা চন্দ্র ক্যালেন্ডারের ১২তম মাসে এটি পালন করা হয়। এটি বার্ষিক হজ যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠান হিসেবেই চিহ্নিত।
বকরি ঈদ একটি আনন্দ আর শান্তির উৎসব। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ এই উৎসব পরিবার ও আত্মীয়দের সঙ্গে কাটায়। এই অনুষ্ঠান হজরত আব্রাহামের ঈশ্বরের জন্য সর্বস্ব উৎসর্গ করার ইচ্ছার স্মারক হিসেবে পালিত হয়।