কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বাসবরাজ সোমাপ্পা বোম্মাইকে কিছুটা বাধ্য হয়েই বেছে নিল বিজেপি। চাপের মুখে কার্যত ঢেঁকি গিলতে বাধ্য হলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা।
শেষ হাসি হাসলেন সেই বি এস ইয়েদুরাপ্পাই। তখত থেকে তাঁকে সরে যেতে হলেও উত্তরসূরী যে তাঁরই ঘনিষ্ঠ একজন, তা নিশ্চিত করতে পারলেন তিনি। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বাসবরাজ সোমাপ্পা বোম্মাইকে কিছুটা বাধ্য হয়েই বেছে নিল বিজেপি। চাপের মুখে কার্যত ঢেঁকি গিলতে বাধ্য হলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা। ইয়েদুরাপ্পা সরে যাওয়ায় রীতিমত অসন্তোষের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁদের। সেই কালো মেঘ কাটাতে বিজেপির বড় ভোটব্যাঙ্ক লিঙ্গায়েতদের একজনকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে বাছতে হল বিজেপিকে।
মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সোমবারই পদত্যাগ করেন ইয়েদুরাপ্পা। এরপরেই কর্ণাটক জুড়ে বেশ বেকায়দায় পড়ে বিজেপি। কারণ মোদী - শাহের চাপেই যে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে ইয়েদুরাপ্পাকে, তা প্রকাশিত হয়। বিদায়ী ভাষণে ইয়েদুরাপ্পাও জানান, দু বছরের মুখ্যমন্ত্রীত্বের মেয়াদের একাধিকবার চাপের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে, নানা পরীক্ষা দিতে হয়েছে। ফলে বোম্মাইকে বেছে নিয়ে লিঙ্গায়েতদের খুশি করার মরিয়া চেষ্টা চালাল বিজেপি বলেই ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এস আর বোম্মাইয়ের ছেলে বাসবরাজকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তে কার্যত রাজনৈতিক জয় হল ইয়েদুরাপ্পারই। কারণ বাসবরাজ ইয়েদুরাপ্পা ঘনিষ্ঠ। লিঙ্গায়েত ধর্মগুরুদের ও বিরোধী কংগ্রেসের একাংশের চাপেই এই সিদ্ধান্ত যে নিতে হয়েছে মোদী-শাহকে, তা বলাই বাহুল্য।
সোমবারই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন ইয়েদুরাপ্পা। তার মাত্র এক দিন পরেই নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করল বিজেপি। বাসবরাজ বোম্মাই ইয়েদুরাপ্পার মন্ত্রিসভায় অন্যতম সদস্য ছিলেন। ইয়েদুরাপ্পার ঘনিষ্টও ছিলেন তিনি। বোম্মাই ২০০৮ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। পেশায় তিনি একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। একটা সময় টাটা গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। একাধিকবার বিধায়ক পদে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। কর্পোরেশনেও তিনি দুবার প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।