অরুণাচল প্রদেশে তুষারধসের (Arunachal Pradesh Avalanche) কবলে পরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) সাত জওয়ানের দেহ উদ্ধার। দুদিন আগে বরফের নিচে চাপা পড়েছিলেন তাঁরা।
আশঙ্কাই হল সত্যি। গত ৬ ফেব্রুয়ারি অরুণাচল প্রদেশে তুষারধসের (Arunachal Pradesh Avalanche) কবলে পড়ে নিখোঁজ ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) টহলদার দলের অন্তত সাত সদস্য। দুদিন পর, মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর একটি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল সেই নিখোঁজ হওয়া সাতজন সৈন্যেরই মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। অসমের তেজপুরে অবস্থিত প্রতিরক্ষা মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল হর্ষবর্ধন পান্ডে জানিয়েছেন, শহিদ ৭ জন ছিলেন ১৯ জম্মু ও কাশ্মীর রাইফেলস-এর সদস্য। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৪,৫০০ ফুট উচ্চতা থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল হর্ষবর্ধন পান্ডে জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরেই এই এলাকায় ভারী তুষারপাত-সহ ব্যাপক প্রতিকূল আবহাওয়া চলছিল। যে কারণে উদ্ধারকার্যও ব্যাহত হয়েছে। এখন, সৈন্যদের মৃতদেহ তুষারধসের স্থান থেকে নিকটস্থ আর্মি মেডিকেল সুবিধায় স্থানান্তর করা হচ্ছে। তাওয়াং জেলার মমি হেড এলাকায় ওই তুষারধসের ঘটনা ঘটেছিল। পরদিনই সেনার এক বিশেষ দল'কে ঘটনাস্থলে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গত দুদিন ধরে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানের পর শহিদদের দেহ পাওয়া যায়। জং থানার অন্তর্গত নিকটতম গ্রাম জাংদা বস্তি থেকে মমি হেড প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে। স্থানীয় পুলিশের একটি দলও অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করেছিল।
ঘটনাটি ঘটেছিল গত রবিবার। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য অরুণাচলের কামেং সেক্টরের (Kameng Sector) এক উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে টহল দিতে গিয়েছিল সেনার একটি টহলদারী দল। আচমকাই তুষারধসের ঘটনা ঘটে। চিন সীমান্তবর্তী এই রাজ্যের বেশ কয়েকটি অতি উচ্চ পাহাড়ি এলাকায় চলতি মাসের শুরু থেকেই ভারী তুষারপাত দেখা যাচ্ছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ইটানগরের কাছে দারিয়া পাহাড়ে ৩৪ বছর পর চলতি মাসে ফের তুষারপাত হয়েছে। অরুণাচল প্রদেশের পশ্চিম কামেং জেলার রূপা শহরেও প্রায় দুই দশক পর তুষারপাত হয়েছে।
অরুণাচল প্রদেশ একেবারে চিন লাগোয়া রাজ্য। শুধু তাই নয়, অরুণাচলকে তাদের নিজেদের জায়গা বলেই দাবি করে চিন। গত মাসেই এই রাজ্যের এক কিশোরকে অপহরণ করেছিল চিন সেনা। তাকে ব্যাপক অত্যাচারের পর ভারতের হাতে তুলে দেওযা হয়। অরুণাচলের বেশ কয়েকটি জায়গার নামও তারা বদলে চিনা ভাষায় রেখেছে। অরুণাচলে মাঝে মধ্যেই চিন সেনার অনুপ্রবেশের অভিযোগও শোনা যায়। এই কারণেই, প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও দুর্গম অঞ্চলে নিয়মিত টহলদারি দিতে হয়।