অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সাজছে বিএসএফ, ১৯৩৩টি সীমান্ত ফাঁড়িতে আসছে কী কী নতুন ব্যবস্থা

রাকেশ আস্তানা বিএসএফ-এর নতুন ডিজি হয়েছেন

আর তার সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তিগত ব্যপক উন্নয়ন ঘটছে বাহিনীর

পাক ও বাংলাদেশ সীমান্তের প্রতিটি ফাঁড়ি পাবে ড্রোন

তৈরি হচ্ছে ড্রোন বিরোধী ব্যবস্থাও

 

amartya lahiri | Published : Aug 23, 2020 11:44 AM IST

সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর বা বিএসএফ-এর ডিরেক্টর হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন রাকেশ আস্তানা। আর তারপরই ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর এই বিভাগে সীমান্ত নজরদারির ক্ষেত্রে দারুণ প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঘটতে চলেছে। বাহিনীর হাতে আসছে ৪৩৬টি ছোট ও অতিক্ষুদ্র আকারের ড্রোন। এছাড়া সন্ত্রাসবাদী ও পাকিস্তানিদের অস্ত্র-বহনকারী যে কোনও ড্রোনকে গুলি করার জন্য সীমান্তে স্থাপিত হচ্ছে ড্রোন বিরোধী ব্যবস্থাও। পঞ্জাব, এবং জম্মু ও কাশ্মীরে ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এই ব্যবস্তাগুলি আপাতত পরীক্ষা করা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে সীমান্তে নজরদারি উন্নত করতে কম্প্রিহেনসিভ ইন্টিগ্রেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট বা সিআইবিএম নামে এক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ পরিচালিত ১৯৩৩টি সীমান্ত ফাঁড়িতে সেন্সর, সিসিটিভি এবং ড্রোন ও অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম দেওয়া হবে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের  ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এই ছোট ও অতিক্ষুদ্র ড্রোনটিগুলি ক্রয় করতে ৮৮ কোটি টাকা র ব্যয় করা হচ্ছে। আর অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেমগুলি তৈরি করা হয়েছে একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে। গত এক বছরে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে চিনা বাণিজ্যিক ড্রোন ব্যবহার করে বারেবারে পঞ্জাবের খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী এবং জম্মু ও কাশ্মীরে জিহাদিদের হাতে অ্যাসল্ট রাইফেল, পিস্তল এবং গ্রেনেড পাঠাতে দেখা গিয়েছে। তা আটকানোই এই ড্রোনবিরোধী ব্যবস্থার লক্ষ্য।

বিএসএফ-এর পাশাপাশি রাকেশ আস্তানা একইসঙ্গে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি-ও ডিজি। জানা গিয়েছে আফগান মাদ ক যাতে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে না ঢোকে তার জন্য এই দুই সরকারি বিভাগ 'ক্রস বর্ডার ড্রাগ কিংপিন'দের আচক করার জন্য একটি যৌথ কৌশল গ্রহণ করবে। এই অবৈধ মাদক পাচারের টাকা সন্ত্রাসবাদে ব্যবহৃত হয় বলে ভারতীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন।

Share this article
click me!