আয়কর বিভাগের ২০২৩-২৪ সালের মূল্যায়ন বছরের তথ্য দেখায় যে, যারা আইটিআর দাখিল করেছিলেন তাদের ৭০ শতাংশই শূন্য রিটার্ন দাখিল করেছিলেন।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ তারিখে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করবেন। এবারের বাজেট থেকে করদাতাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। সূত্রের খবর সরকার খরচ বৃদ্ধি এবং অর্থনীতি চাঙ্গা করতে আয়কর কমানোর কথা বিবেচনা করছে। বর্তমানে, নতুন এবং পুরাতন উভয় কর ব্যবস্থাতেই, ১০-১৫ লক্ষ টাকার বেশি বার্ষিক আয়ের ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ কর দিতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে, সরকার ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয় করমুক্ত করার কথা বিবেচনা করতে পারে।
অর্থমন্ত্রীর মনোযোগ নতুন কর ব্যবস্থার উপর হতে পারে
২০২০ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন নতুন কর ব্যবস্থা চালু করেছেন। এতে বিনিয়োগ বা গৃহঋণের মতো জিনিসের উপর কর ছাড়ের কোনও সুবিধা নেই, তবে করের হার কম। আগে করদাতারা এতে খুব একটা আগ্রহ দেখাতেন না, কিন্তু এখন এর অধীনে আইটিআর দাখিলকারীর সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই কারণেই সরকার এটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করতে পারে।
নতুন কর ব্যবস্থা কতজন করদাতা ব্যবহার করছেন?
এখন প্রায় ৭২ শতাংশ করদাতা নতুন কর ব্যবস্থার অধীনে আইটিআর দাখিল করা শুরু করেছেন। এর মূল কারণ হল নতুন কর ব্যবস্থা বেশ সহজ এবং একটি ভালো পরিমাণ অর্থ কোনও ঝামেলা ছাড়াই করমুক্ত হয়ে যায়। একই সাথে, কেবলমাত্র সেইসব ব্যক্তিরা পুরানো কর ব্যবস্থার মধ্যে আছেন যারা কর বাঁচানোর জন্য গৃহঋণ নিয়েছেন বা অনেক প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছেন।
কতজন লোক শূন্য আইটিআর ফাইল করছে?
আয়কর বিভাগের ২০২৩-২৪ সালের মূল্যায়ন বছরের তথ্য দেখায় যে, যারা আইটিআর দাখিল করেছিলেন তাদের ৭০ শতাংশই শূন্য রিটার্ন দাখিল করেছিলেন। এর অর্থ হল তার বার্ষিক আয় ছিল ৫ লক্ষ টাকা বা তার কম। একই সময়ে, রিটার্ন দাখিলকারী ৮৮ শতাংশ মানুষের আয় ১০ লক্ষ টাকার কম এবং ৯৪ শতাংশ মানুষের আয় ১৫ লক্ষ টাকার কম ছিল।
সরকার কি ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত করবে?
আয়কর বিভাগের তথ্য থেকে স্পষ্ট দেখা যায় যে, সরকার সর্বাধিক রাজস্ব পায় সেইসব লোকদের কাছ থেকে যাদের বার্ষিক আয় ১০-১৫ লক্ষ টাকার বেশি। এমন পরিস্থিতিতে, কেউ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত করার কথা বিবেচনা করতে পারে। এটি মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জন্য বিরাট স্বস্তি বয়ে আনবে। অর্থনীতিবিদরা সরকারকে ১০-১৫ লক্ষ টাকার স্ল্যাবে কর কমানোর পরামর্শও দিয়েছেন। এর ফলে মানুষের হাতে আরও বেশি টাকা থাকবে, যা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে।