কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২২-২৩, Union Budget 2022-23, বাজেট অধিবেশন ২০২২, Budget Session 2022, Rajya Sabha, রাজ্যসভা, মল্লিকার্জুন খারগে, Mallikarjun Kharge, আনন্দ শর্মা, Anand Sharma, কংগ্রেস, Congress, Mallikarjun Kharge, মল্লিকার্জুন খারগে,
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাজেট অধিবেশন ২০২২ (Budget Session 2022)। বাজেট অধিবেশনেও কংগ্রেসের (Congress) অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। জানা গিয়েছে, গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যসভার (Rajya Sabha) বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খারগের (Mallikarjun Kharge) ৩০ মিনিট বক্তব্য রাখার কথা থাকলেও, তিনি প্রায় ১ ঘন্টা ধরে ভাষণ দেন। এর ফলে আরেক কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা (Anand Sharma), যাঁর বলার কথা ছিল ২৫ মিনিট, তিনি প্রায় বলার সময়ই পাননি। প্রসঙ্গত, আনন্দ শর্মা কংগ্রেসের জি-২৩ নেতাদের (G-23 Leaders) অন্যতম।
সংসদের চলতি অধিবেশনে, রাজ্যসভায় কংগ্রেস দলকে তাদের বক্তব্য পেশ করার জন্য ১০৯ মিনিট বরাদ্দ করা হয়েছে। কংগ্রেস দল সূত্রে জানা গিয়েছে সংসদে বাজেটের উপর বক্তব্য রাখার জন্য তারা ৬ জন নেতাকে মনোনীত - মল্লিকার্জুন খারগে, আনন্দ শর্মা, দিগ্বিজয় সিং, রিপুন বোরা প্রমুখ। এরমধ্যে সবথেকে বেশি সময় ভাষণ দেয়ার সুযোগ পেয়েছেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতাই। খারগে-কে ৩০ মিনিট বলার সুযোগ দিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। খাতায় কলমে এরপরই এর পরই হাইকমান্ড সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে আনন্দ শর্মাকে। তাঁর বলার কথা ছিল ২৫ মিনিট। কিন্তু, ওই বরাদ্দ সময় খাতায়-কলমেই থেকে গিয়েছে।
সংসদে, এদিন তাঁর নিজের বক্তব্য প্রায় তুলে ধরার সময়ই পাননি আনন্দ শর্মা। কারণ, মল্লিকার্জুন খারগে একাই প্রায় এক ঘণ্টা মতো সময় নেন। এরপর, আনন্দ শর্মার বক্তব্য রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সময় ছিল না। এর পিছনে চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন একাংশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাঁদের দাবি, আনন্দ শর্মা এবং তাঁর মতো 'বিদ্রোহী' কংগ্রেসি নেতাদের সংসদে বক্তব্য পেশ করার সময় না দিতেই, কংগ্রেস হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে এটা একটা সচেতন কৌশল।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর, কপিল সিবাল (Kapil Sibal), আনন্দ শর্মা, গুলাম নবি আজাদের (Ghulam Nabi Azad) মতো ২৩ জন বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা, দলে নেতৃত্বের সংকটের কথা তুলে, কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) খোলাখুলি চিঠি দিয়েছিলেন। নেতৃত্বের সমস্যা সমাধানের জন্য সাংগঠনিক নির্বাচন আয়োজনের দাবিও করেছিলেন। সেই থেকে কংগ্রেসে দুটি গোষ্ঠী তৈরি হয়ে গিয়েছে। একজন গান্ধী পরিবারের অনুগত, মনে করছেন গান্ধীদের হাতেই কংগ্রেসের নেতৃত্ব সুরক্ষিত। আর জি-২৩ নেতারা, অর্থাৎ ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করা নেতারা নেতৃত্বের বদল চাইছেন।
২৫ জানুয়ারি গুলাম নবি আজাদের পদ্ম সম্মান প্রাপ্তি নিয়েও এই বিদ্রোহ উসকে উঠেছিল। মোদী সরকারের আমলে এই সম্মান গ্রহণ করাকে যেমন কটাক্ষ করেছিলেন জয়রাম রমেশের (Jayaram Ramesh) মতো গান্ধী-ভক্ত কংগ্রেস নেতারা, অন্যদিকে কপিল সিবাল, আনন্দ শর্মারা অভিনন্দন জানিয়েছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। সংসগের বাজেট অধিবেশনের ঘটনাও সেই ধারাবাহিকতারই অংশ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।